সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর কেরিয়ারের উইশলিস্টে কখনও ক্রিকেট ছিল না। একটা আর্কিটেকচারাল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি বানিয়েছেন। গান গেয়েছেন। তারপরে ক্রিকেটে এসেছেন। ২০২১ সালে ভারতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয় তাঁর। যদিও জার্নিটা মসৃণ ছিল না। এর মধ্যে রয়েছে অনেক নাটকীয়তা। আর এসব তিনি জানিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে।
তিনি জানান, ক্রিকেটে এসে প্রায় ৪২০০ শতাংশ বেড়েছে তাঁর বেতন। ক্রিকেটে আসার আগে দিনপ্রতি তাঁর আয় ছিল ৬০০ টাকা। আর এখন আয় ২৬,০০০ টাকা। অশ্বিনকে তিনি বলেন, "তখন সবে কলেজ শেষ করেছি। এরপর এক আর্কিটেকচারাল সংস্থায় জয়েন করি। প্রথমে সেখানে বেতন ছিল ১৪ হাজার টাকা। তারপর বেড়ে হয় ১৮ হাজার। যদিও একবছর পর চাকরি ছেড়ে দিই। মিউজিকের প্রতি ঝোঁক ছিল। তাই গিটার শিখি। যদিও সেটাও পরে ছেড়ে দিয়ে ইন্টেরিয়র ডিজাইন ও কনস্ট্রাকশনের ব্যবসা খুলি।"
চাকরি ছেড়ে অভিনয়জগতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। অভিনয় করেছিলেন। পরে পরিচালনাও করেন। কয়েকটা স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি তৈরি করলেও বেশি উপার্জন করতে পারেননি। প্রশ্ন হল, তখন কি একেবারেই ক্রিকেট খেলতেন না বরুণ? উত্তর হল, ক্রিকেট খেললেও খেলতেন টেনিস বলে।
সেখান থেকেই আইপিএলে সুযোগ মেলে। কলকাতা নাইট রাইডার্সে তো তাঁর জুড়ি মেলা ভার। বিশ্বাস জিতে নিয়েছেন দলের। তারপর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পাওয়ার পর সুযোগ পেয়েছেন ওয়ানডে দলেও। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ছিলেন তুরুপের তাস। সেখানে দুর্দান্ত পারফর্ম করে স্বাদ পেয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়েরও। এহেন বরুণের একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে প্রতিদিন তাঁর বেতন ৩০০ ডলার (প্রায় ২৫,৬৫২ টাকা)। এভাবেই হয়তো জীবনের উত্থান হয়। হয়তো তাঁর এই কাহিনি মনে ধরবে কোনও মধ্যবিত্তের।
