আলাপন সাহা: এগারো বছর পর ভিনু মানকড় ট্রফির(Vinoo Mankad Trophy 2024) নকআউটে উঠেছিল বাংলা। শুধু নকআউটে উঠে থামা নয়। ছত্তিশগড়কে উড়িয়ে ফাইনালে অনূর্ধ্ব উনিশ বাংলা টিম। গ্রুপ পর্ব থেকেই টিমটা ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করছিল। গ্রুপে শুধু মহারাষ্ট্রের কাছে হেরেছিল বাংলা। সেই মহারাষ্ট্রকে আবার কোয়ার্টার ফাইনালে দুমড়ে-মুষড়ে দেয় সৌরাশিস লাহিড়ীর ছেলেরা। রাজকোটে এদিন সেমিফাইনালেও একইরকম দাপুটে ক্রিকেট উপহার দিল টিম বাংলা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্ধর্ষ করেন দুই বঙ্গ ওপেনার। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ১৯০ রান। বাংলা যে বড় রান করতে চলেছে, তখনই পরিষ্কার। বিশাল ভাট্টি ১১১ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। অঙ্কিত চট্টোপাধ্যায় (৯২) অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেন। বাংলা ৫০ ওভারে ২৮৫/৮ তোলে।
ব্যাটাররা যেরকম দাপুটে পারফরম্যান্স করলেন, ঠিক তেমনই দাপট দেখালেন বঙ্গ বোলাররাও। যার ফলে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় ছত্তিশগড়। পঞ্চাশ রানের মধ্যে তিন উইকেট চলে যায় তাদের। সেখান থেকে পুরো ইনিংসে আর তারা বেরোতে পারেনি। শেষমেশ ছত্তিশগড়কে ৪১.২ ওভারে মাত্র ১৫৪ রান অলআউট করে দেয় বাংলা। সেঞ্চুরির পর বোলিংয়েও দুরন্ত পারফরম্যান্স করলেন বিশাল। তিনটে উইকেট নিলেন। আশুতোষ কুমারের ঝুলিতে চার উইকেট।
স্বাভাবিকভাবে এরকম একটা জয়ের পর উচ্ছ্বাস ভাসছে পুরো টিম। তবে একইসঙ্গে ভীষণ সতর্কও। কারণ ফাইনালে এবার সামনে গুজরাত। তাই ফাইনাল না জেতা পর্যন্ত কোনও উৎসব চাইছেন না কোচ সৌরাশিস। বলছিলেন, ‘‘এখানে আমার কোনও কৃতিত্ব নেই। সব কৃতিত্ব ছেলেদের। ওরা প্রথম ম্যাচ থেকে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছে। কোচের কাজ হল ক্রিকেটারদের ঠিকঠাকভাবে গাইড করা। একটা প্রসেস ফলো করা। আমিও সেটা করে গিয়েছি। ফাইনালে উঠেছি বলে কোনও সেলিব্রেশন নয়। টিমকে বলে দিয়েছি সব উৎসব হবে ফাইনাল জেতার পর। তার আগে কিছু করা যাবে না। এখন ফোকাস করতে হবে ওই ম্যাচটায়। সামান্যতম ফোকাসও নড়তে দেওয়া যাবে না।’’