স্টাফ রিপোর্টার: সুরুচি সংঘের পুজো উদ্বোধন করতে এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে প্রশংসা করে গেলেন ব্রায়ান চার্লস লারা। যাকে ক্যারিবিয়ান প্রিন্স নামে চেনে ক্রিকেট পৃথিবী। দিন দুই আগে তিনি এসেছিলেন শহরে। সুরুচি সংঘের দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে। সেখানে তিনি প্রচারমাধ্যমকে বলে যান, ‘‘আমি এ শহরে এসেছি এই অসাধারণ উৎসবকে (দুর্গাপুজো) সেলিব্রেট করতে। আমি বিশেষ করে ধন্যবাদ দিতে চাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই উৎসবকে অসাধারণ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কলকাতায় ফিরে আসতে পেরে দারুণ লাগছে।’’
একদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা। আর একদিকে ভারতের তরুণওপেনার যশস্বী জয়সওয়ালকে দরাজ সার্টিফিকেট। পিঠোপিঠি সময়ের মধ্যে দু’টোই করলেন প্রাক্তন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। লারার মতে, পরিবেশ-পরিস্থিতি কোনও ব্যাপার নয়। যশস্বীকে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে, যে কোনও মাঠে খেলতে বলা হোক না কেন, তিনি খেলে দেবেন। শুধু আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরে বাঁহাতি ভারতীয় ব্যাটারের প্রয়োজন মানসিকভাবে নিজেকে তৈরি করা।
টেস্ট ক্রিকেটে ইতিধ্যেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন যশস্বী। লালবলের ক্রিকেটে তিনি টিমের অপরিহার্য অংশ। চলতি বছরে আটটা টেস্ট খেলে ৬৬.৩৫ ব্যাটিং গড়ে ৯২৯ রান করেছেন তিনি। যশস্বীর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এবার–অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলা! ‘‘যশস্বীর যে কোনও মাঠে খেলার ক্ষমতা রয়েছে। আমি ওকে ক্যারিবিয়ানে খেলতে দেখেছি। এটা ঘটনা যে, ক্যারিবিয়ানের পিচ আর অস্ট্রেলিয়ার বাইশ গজ এক নয়। দু’টোর মধ্যে অনেক তফাত আছে। কিন্তু যশস্বীর যা স্কিল আছে, তাতে যে কোনও পরিবেশে ও সফল হওয়ার ক্ষমতা রাখে,’’
মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে বলে দিয়েছেন লারা। সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘আমি আশা করব, অস্ট্রেলিয়াতেও ভালো পারফর্ম করবে যশস্বী। আসল হল অ্যাডজাস্টমেন্ট। ব্যাটারকে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে শুধু মানসিক অ্যাডজাস্টমেন্ট করতে হবে যশস্বীকে। স্কিলগত দিক থেকে কোনও সমস্যা নেই।’’