স্টাফ রিপোর্টার: বিধানসভা নির্বাচনে জেতা, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হওয়া। রাজনীতির অচেনা পিচেও সাবলীল ভাবেই ‘ব্যাটিং’ করছেন তিনি। কিন্তু রাজনীতির ময়দানে নামলেও ক্রিকেটের প্রতি আবেগ যে এখনও চিরসবুজ তাঁর হৃদয়ে। মন্ত্রী হিসাবে যেমন বাংলার (Bengal) মানুষদের সেবা করে যেতে চান, আবার ক্রিকেটার হিসাবেও বাংলাকে রনজি ট্রফি জেতানোর স্বপ্ন সোনালি বাস্তবে পরিণত করতে চান। নতুন জীবনে পা রেখেও বাইশ গজের মায়ায় এখনও আবদ্ধ তিনি। মন্ত্রী হয়েও পেশাদার ক্রিকেট খেলার বিরল নজিরই গড়তে চলেছেন তিনি।
হতে পারে তাঁর ঠাসা সূচি। সকাল থেকে রাত বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকছেন। তাতেও নিজের প্রিয় ক্রিকেটের জন্য ঠিক সময় বার করবেন। বাংলা তাই প্রথমবার সাক্ষী থাকতে চলেছে বিরল সেই নজিরের। যখন একজন মন্ত্রী ব্যাট হাতে নামবেন ক্রিকেট মাঠে! আর সেই মন্ত্রীর নাম মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary)! যিনি বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক শুধু নন, বঙ্গের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানও বটে!
[আরও পড়ুন: Ind vs SL: আত্মবিশ্বাসী তরুণ ব্রিগেড, আজই সিরিজ জিততে চায় Team India]
আগামী ২৩ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে সিনিয়র বাংলা দলের ফিটনেস ক্যাম্প। যে তালিকায় সবচেয়ে বড় চমক প্রাক্তন বাংলা অধিনায়ক মনোজ। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে যখন ফোনে ধরা হল হাসতে হাসতে মনোজ বললেন, “শুনলাম আমিই নাকি প্রথম মন্ত্রী যে পেশাদার ক্রিকেটও খেলবে। আমার নাম মনোজ তিওয়ারি। যেটা কেউ করে না সেটাই আমি করি।”
রাজনীতিতে নিজের ইনিংস শুরু করার সময়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) মনোজ জানিয়েছিলেন যে তিনি ক্রিকেট খেলাও চালিয়ে যেতে চান। যা নিয়ে মনোজ যোগ করেন, “জানি দিদির আশীর্বাদ আমার সঙ্গেই আছে। দিদি বলেছিলেন খেলা চালিয়ে যেতে। অবশ্যই জনগণের সেবা করার জন্যই রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু ক্রিকেটও আমার আবেগ। বাংলাকে রনজি ট্রফি জেতানোটা আমার অধরা একটা স্বপ্ন। অনেকবার সেই স্বপ্নপূরণের কাছে এসেছি কিন্তু পারিনি। দেখা যাক এবার পারি কি না?” কিন্তু ফিটনেস তো একটা প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই বলাবলি চলছে, মনোজের ফিটনেস কী অবস্থায় রয়েছে এই মুহূর্তে? যা শুনে মনোজ শুধু বললেন, “যারা আমার ফিটনেসের কথা ভাবছে তাদের বলতে চাই প্লিজ আমাকে নিয়ে চিন্তা করবেন না,” বলে দ্রুত জুড়ে দেন, “আঠারো বছর আমি বাংলার সিনিয়র টিমে খেলছি। প্রতি মরশুমে অনেক রানও করেছি। ফিটনেস না থাকলে কেউ অত রান করতে পারে না।”
[আরও পড়ুন:৩১ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড হাঁটুতে ভর দিয়ে পর্বতাসন! রেকর্ড বুকে নাম রানিগঞ্জের ছাত্রীর]
সব মিলিয়ে মনোজ যে তৈরি প্রিয় ক্রিকেটকে আবার তাঁর জীবনে বরণ করতে। প্রাক্তন বাংলা অধিনায়ক বুঝিয়েই দিচ্ছেন যতই তাঁর নামের পাশে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর তকমা বসুক না কেন, ক্রিকেট এখনও তাঁর আত্মা, ক্রিকেট মাঠ আজও তাঁর আত্মার আত্মীয়!