সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে যৌন নির্যাতনের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। অবস্থা কতটা সঙ্গীন তা স্পষ্ট করে এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র সেপ্টেম্বর মাসে দেশটিতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১২৯ শিশুকন্যা।
[আরও পড়ুন: ভারতকে কোণঠাসা করার ছক! BRI প্রকল্পে বাংলাদেশে রাস্তা গড়তে চায় চিন]
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের দ্বারা প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের মতে, গত সেপ্টেম্বর মাসে ১২৯টি ধর্ষণ কাণ্ড-সহ ৩৪০ জন নারী ও শিশুকন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি পত্রিকার সংবাদের ভিত্তিতে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০ নারী ও শিশুকন্যার গণধর্ষণ-সহ ১২৯ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৭৩ শিশু-সহ ১০৯ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে এবং ১০ শিশু-সহ ২০ জন গণধর্ষণের শিকার। এছাড়া ছয় শিশু-সহ ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৯ জনকে। শ্লীলতাহানির শিকার চারজন, তাদের মধ্যে দু’টি শিশুও রয়েছে। চারজন শিশু-সহ যৌন নিপীড়নের শিকার সাত। এসিড হামলার শিকার ছয়জন, টার মধ্যে দু’টি শিশু। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে পাঁচজন, এর মধ্যে এক শিশু ও দুই মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে উদ্বেগ উসকে আরও জানানো হয়েছে যে, সেপ্টেম্বর মাসে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ২০, এর মধ্যে ১৬টি শিশু সংক্রান্ত ঘটনা। এছাড়া অপহরণের চেষ্টা করা হয় এক জনকে। তিন মহিলাকে পাচার করা হয়েছে। বিভিন্ন কারণে সাতটি শিশু-সহ ৩৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া দুই শিশু-সহ তিন জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতন চালানো হয়েছে ১৪ জন বধূর উপর, এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে পাঁচজনকে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে সাত শিশু-সহ ২৭ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ১৪ শিশু-সহ আত্মহত্যা করেছে ২০ জন এবং ছ’টি শিশু-সহ ২৮ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ১৯টি। সাইবার ক্রাইম অপরাধের শিকার চার জন নারী। পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রকৃত ঘটনা এর চেয়ে অনেক বেশি। কারণ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। অনেক ঘটনাই পত্রিকায় প্রকাশ পায় না।