সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লিওনেল মেসির (Leo Messi) সঙ্গে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মাঠের বৈরিতা কোন পর্যায়ের, তা সর্বজনবিদিত। কিন্তু দু’জনের সম্পর্ক যে এ রকম তলানিতে এসে ঠেকেছে, কে জানত? কে জানত, লিওনেল মেসির প্রতি প্রকাশ্যে বিষোদগার করে বসবেন রোনাল্ডো!
ঘটনার সূত্রপাত, মেসির সপ্তম ব্যালন ডি’অর (Ballon d’or) জেতা নিয়ে। যা নিয়ে ভাল রকম বিতর্ক চলছে আন্তর্জাতিক ফুটবলমহলে। আসলে ব্যালন ডি’অর জেতার প্রশ্নে এবার মেসির সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন রবার্ট লেওয়েনডস্কি (Robert Lewandowski)। অনেকেরই মনে হয়েছে, লেওয়নডস্কির শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার না পাওয়াটা ঘোরতর অন্যায় হয়েছে। কারণ, এবার অন্তত কীর্তিতে মেসির চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন লেওয়নডস্কি। কিন্তু তা সত্বেও রেকর্ড সপ্তম বার পুরস্কার জেতেন মেসি এবং যা নিয়ে ভাল রকম ঝামেলাও চলছে। সেই আগুনে এবার ঘৃতাহুতি দিলেন রোনাল্ডো স্বয়ং!
[আরও পড়ুন: ISL 2021: ডার্বির পরের ম্যাচেই লজ্জার হার, এটিকে মোহনবাগানকে গোলের মালা পরাল মুম্বই]
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristinao Ronaldo) এক ফ্যানপেজ থেকে এ দিন গোলার পর গোলার দাগা হয় মেসিকে উদ্দেশ্যে করে। সেখানে লেখা হয়, ‘মেসিকে ব্যালন ডি’অর দেওয়াটা স্রেফ লজ্জাজনক। চুরি করা হয়েছে, চুরি। মেসিকে ব্যালন ডি’অর দিয়ে আদতে পুরস্কারটাকেই কলুষিত করা হল। যারা সেটা দেখার, দেখেছে। আর যাদের বুদ্ধিশুদ্ধি রয়েছে, তারা জানে পুরস্কারটা কার প্রাপ্য ছিল। কেউ যদি যোগ্য না হয়েও কোনও পুরস্কার পায়, তাতে সেই পুরস্কার জয়ের আনন্দ থাকে না। কোনও গর্ব থাকে না।’ আরও যোগ করা হয়, ‘মরশুমে তেতাল্লিশটা গোল রয়েছে রোনাল্ডোর। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পাঁচটা ম্যাচে ছ’টা গোল করেছে। বয়সও থামাতে পারেনি রোনাল্ডোকে। দিনের পর পর দিন ফুটবলজাদুতে বিশ্বকে মোহাচ্ছন্ন করেছে। তার পর কি না সেই লোকটাকে ছ’নম্বরে রাখা হল? ক্রিশ্চিয়ানোর লড়াইটা হওয়া উচিত ছিল লেওয়নডস্কির সঙ্গে। লেয়নডস্কিও অসামান্য সব কীর্তি গড়েছে। কিন্তু ক্রিশ্চিয়ানো কিছু করলে, কোনও কীর্তি গড়লে, সেটাকে তিনশো শতাংশ সংশয়মুক্ত হতে হবে। মেসির ক্ষেত্রে যা হবে না। খারাপ মরশুমের পরেও ঠিক কোনও না কোনও উপায় খুঁজে বার করে মেসিকে পুরস্কার দিয়ে দেওয়া হবে।’
[আরও পড়ুন: রোনাল্ডোদের সামলাতে অভিজ্ঞতাতেই ভরসা, অভিজ্ঞ জার্মানকে কোচ করল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড]
না, রোনাল্ডো সরাসরি কিছু বলেননি মেসিকে। কিন্তু এই ফ্যানপেজের লেখায় গিয়ে তলায় লিখে দিয়েছেন, ‘যা ঘটনা, তাই লেখা হয়েছে। ফ্যাক্ট।’ যার পরেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে বিশ্বফুটবলে। বলা হচ্ছে, এতদিন যে যুদ্ধটা চলত আড়ালে-আবডালে, মেসির সপ্তম ব্যালন ডি’অর জয়ের পর সেটা কি প্রকাশ্য হয়ে গেল?