সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: সুন্দরবনের (Sunderbans) গভীর জঙ্গলের পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদী থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়ল বড়সড় কুমির (Crocodile)। রাতভর মূর্তিমান সেই আতঙ্ককে ফের স্বস্থানে পাঠাতে প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে কার্যত লড়াই চালালেন বনকর্মীরা। অবশেষে রাত ১টা নাগাদ জালবন্দি হয় বিশালবপু কুমিরটি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার (Patharpratima) L প্লটে লোকালয়ের একটি পুকুরে ঢুকে পড়েছিল বড়সড় একটি কুমির। দীর্ঘ কসরতের পর প্রায় আট ঘণ্টার চেষ্টায় জালবন্দি করল বনদপ্তর।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে নাগাদ লোকালয়ের একটি পুকুরে কুমিরটিকে ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা। লোকালয়ের পুকুরে বিশালবপু কুমির ঢুকে পড়েছে, বনদপ্তরকে (Forest Department) এই খবর পাঠানো হয়। খবর পাওয়ামাত্রই ভগবানপুর কুমির প্রকল্পের রেঞ্জ অফিসার (Range officers) তন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি বিশেষ উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ওই দলটিকে সাহায্য করতে রামগঙ্গা রেঞ্জের ধনচি বিট অফিস থেকে দেবব্রত প্রামাণিকের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যায় সাহায্যকারী অন্য একটি দল।
[আরও পড়ুন: ধন্য ‘দিদিমণি’! অবসরের পর ছাত্রছাত্রীদের জন্য দান করলেন ১ লক্ষ টাকা]
প্রায় ৮ ঘন্টা পর রাত প্রায় একটা নাগাদ বনদপ্তর কুমিরটিকে জালবন্দি করে। প্রায় ১৫ ফুট দৈর্ঘ্যের কুমিরটি উদ্ধারের পর রাতেই পাঠানো হয় ধনচি বিট অফিসে। উদ্ধার হওয়া কুমিরের শরীরে কোনও আঘাত নেই। সে সুস্থ আছে বলে জানিয়েছে বনদপ্তর। ধরা পড়া কুমিরের শারীরিক পরীক্ষার পর শুক্রবার সেটিকে সুন্দরবনের গভীরে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলা বনাধিকারিক মিলন মণ্ডল জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যেই পথ ভুলে নদীর কাছাকাছি গ্রামের পুকুরে এভাবেই চলে আসে কুমির। এমন ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সঙ্গে সঙ্গে বনদপ্তরকে জানানোর পরামর্শ দেন তিনি। আশ্বাস দেন, বনদপ্তরের অভিজ্ঞ উদ্ধারকারী দল সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে।