সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোমূত্র এবং তাঁর উপকারিতা নিয়ে নানা কথন শোনা যায় বিজেপি নেতাদের একাংশের মধ্যে। মনুষ্য শরীরের যাবতীয় রোগ সারিয়ে দিতে পারে গোমূত্র। বৈজ্ঞানিক ভিত্তি থাক বা না থাক, একথা বিশ্বাস করেন গেরুয়া শিবিরের বহু নেতা। এই তালিকায় নবতম সংযোজন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেত্রী সাধ্বী প্রজ্ঞা। বিজেপির ভোপালের প্রার্থীর দাবি গোমূত্র ক্যানসার সারাতে পারে।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় চমক, টিকিট পেলেন বক্সার বিজেন্দর সিং]
মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সাধ্বী দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য গত বছর জামিন পেয়ে যান তিনি। প্রমাণের অভাবে তাঁকে বিস্ফোরণ কাণ্ডের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেও, এখনও তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে দেশদ্রোহিতার মামলা। এহেন প্রার্থীকে বিজেপি ভোপালে প্রার্থী করেছে হিন্দুত্বাবাদের প্রতীক হিসেবে তাঁকে ব্যবহার করা জন্য। বলা বাহুল্য, দলের প্রার্থীপদ পেয়েই নিজের কাজ শুরু করে দিয়েছেন সাধ্বী। শুরুতেই বলেছিলেন, ভোপালের কংগ্রেস প্রার্থী দ্বিগ্বিজয় সিংকে তিনি হিন্দু বিরোধী বলেছেন। এবার উসকে দিলেন হিন্দুদের গোমাতা আবেগকেও। বললেন, গোমূত্র এবং পঞ্চগব্য যাবতীয় রোগের অবসান ঘটাতে পারে। এমনকী তাঁর নিজের স্তন ক্যানসারও সেরে গিয়েছে গোমূত্র পান করে এবং পঞ্চগব্য খেয়ে।
[আরও পড়ুন: তৃতীয় দফায় ১১৭ আসনে শুরু ভোটগ্রহণ, ভাগ্য নির্ধারণ একাধিক হেভিওয়েটের]
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাতকারে সাধ্বী বলেন, “আমি নিজে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলাম। আমি গোমূত্র পান করে আর পঞ্চগব্য গ্রহণ করে নিজেকে সারিয়ে তুলেছি। এটা সত্যিই কার্যকরী এবং আমি নিজেই তাঁর উদাহরণ।” শুধু তাই নয়, সাধ্বী প্রজ্ঞার দাবি, স্রেফ গোমাতার গায়ে হাত বুলিয়েই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তিনি বলছেন “যদি আপনি গোমাতার পিছন থেকে গলার দিকে হাত বুলিয়ে দেন, তাহলে গোমাতা খুশি হন। আর এটা নিয়মিত করতে থাকলে আপনার ব্লাড প্রেসারও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।” সাধ্বীর বিজেপিতে যোগদান করা থেকে শুরু করে প্রার্থী হওয়া পর্যন্ত লাগাতার বিতর্ক চলছে। সেসব এড়িয়ে সোমবারই মনোনয়ন দিয়েছেন তিনি। ভোপালে তাঁকে লড়তে হবে কংগ্রেসের হেভিওয়েট দিগ্বিজয় সিংয়ের বিরুদ্ধে। তাই, শুরু থেকেই হিন্দুত্ব এবং গোমাতার আবেগকে কাজে লাগাতে চাইছেন তিনি।
The post ‘গোমূত্র পান করে আমার স্তন ক্যানসার সেরেছে’, আজব দাবি সাধ্বী প্রজ্ঞার appeared first on Sangbad Pratidin.