জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) মাঝেই খাদ্যসামগ্রী চুরির অভিযোগে উত্তপ্ত বনগাঁর (Bongaon)বাগদা এলাকার হরিনাথপুর গ্রাম। চাল, আটা কম দেওয়ায় বেশ কয়েকদিন ধরেই ক্ষোভ জমছিল গ্রাহকদের মধ্যে। মঙ্গলবার সকালে হাতেনাতে রেশন ডিলারের (Ration Dealer) ছেলেকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁরা। জনরোষের মুখে পড়ে নিজের কুকীর্তির কথা স্বীকার করলেন অভিযুক্ত। গ্রাহকদের দাবি, গত ৫ বছর ধরে এভাবে তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে, এবার হিসেব করে সেসব ফেরত দেওয়া হোক।
রেশনের স্লিপে (Slip) লেখা এক পরিমাণ। আর যখন খাদ্যসামগ্রী হাতে আসছে, তখন দেখা যাচ্ছে তার পরিমাণ আরেক! রেশন তোলার পর এমনই গরমিল ঘটছিল। তা নিয়ে প্রথমদিকে গ্রাহকরা কিছুটা বিভ্রান্ত হচ্ছিলেন। কিন্তু পরে বুঝতে পারেন, তাঁদের জন্য বরাদ্দ রেশন চুরি হচ্ছে। এর পর থেকেই হাতেনাতে ধরার অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার সকালে সকলে জমায়েত হয়ে রেশন দোকানে যান। ১৯ কেজি সামগ্রী দেওয়া হবে বলে স্লিপে উল্লেখ করা থাকলেও ১৫ কেজি দেওয়া হয়। চাল, আটা কম দেওয়া হয়। তাতেই রেশন দোকানের কর্মীকে ঘিরে প্রথমে বিক্ষোভ (Protest) দেখাতে শুরু করেন গ্রাহকরা। কর্মী শংকর কর্মকার জানান, তিনি যা করেছেন, সবটাই ডিলারের নির্দেশ মেনে।
[আরও পড়ুন: ইন্ডিয়া জোটে ফাটল? জাতিগত জনগণনার সমর্থনে রাহুল, ‘বিশ্বাসঘাতক’, পালটা তোপ অখিলেশের]
এর পরই ডিলারের ছেলে শান্তনু সাধুকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁরা। প্রবল চাপের মুখে পড়ে তিনি স্বীকার করেন যে বরাদ্দ রেশন সামগ্রীর চেয়ে কম দেওয়া হয়েছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, গড়ে তিন কেজি চাল, ২ প্যাকেট আটা কম দেওয়া হচ্ছে এবং এই গরমিল চলছে গত ৫ বছর ধরে। তাহলে এতদিনে কত সামগ্রী চুরি হয়েছে, তার হিসেবের কূলকিনারা পাচ্ছেন না তাঁরা।
[আরও পড়ুন: প্রবল ভিড়, বন্ধ হয়ে গেল বারাসতে হ্যারি পটারের জাদুনগরী মণ্ডপ]
এক গ্রাহকের কথায়, ”এই গ্রামে প্রায় আড়াই, তিন হাজার গ্রাহক আছে। সবার বরাদ্দ থেকে যদি এতটা করে চুরি হয়, তাহলে এতদিনে যত পরিমাণ হয়, আমাদের সব হিসেব করে ফেরত দেওয়া হোক।” এই ঘটনার কথা জানানো হয়েছে বাগদার ফুড ইন্সপেক্টর সন্দীপ চক্রবর্তীকে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে রেশন দোকান সিল (Seal) করে দেওয়া হয়েছে।