দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: কোটি কোটি টাকা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে গোপনে, অন্য কোথাও। তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ইডির তদন্ত চাই। রবিবার সকালে হুগলি (Hooghly) স্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে শুরু করে ইমামবাড়া হাসপাতাল চত্বর ও শহরের অন্যান্য এলাকায় রবিবার এমনই বেশ কয়েকটি পোস্টার চোখে পড়ল। আর পোস্টারের এহেন বয়ান ঘিরে তুঙ্গে উঠল রাজনৈতিক তরজা।
কারা দিয়েছে এমন পোস্টার? সেই উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল, পোস্টারের নিচে লাল কালিতে লেখা রয়েছে বিজেপির (BJP) নাম। গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্ব অবশ্য পোস্টার দেওয়ার দায় স্বীকার না করলেও তঁদের দাবি, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে ধরা পড়ার পরই হুগলির তৃণমূল নেতৃত্ব অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে পড়েছে। তারা এতদিন ধরে যে কাটমানি ও ঘুষ নিয়েছে, সেই টাকা রাতারাতি সরিয়ে ফেলছে বলে অভিযোগ উঠছে।
[আরও পড়ুন: রাঁধুনি থেকে শিক্ষাদপ্তরে চাকরি, আচমকাই পালটে যায় অর্পিতার ষষ্ঠ শ্রেণি পাশ বোনের জীবন]
এই পোস্টারের বিষয়ে হুগলির বিজেপি নেতা সুরেশ সাউয়ের প্রতিক্রিয়া, কে এ ধরনের পোস্টার লাগিয়েছে, তা তাঁর জানা নেই। তবে যে বা যারাই লাগিয়ে থাকুক, পোস্টারের বক্তব্য যে ভুল নয়, সেটা মানুষ জানে। সুরেশবাবুর দাবি, হুগলি জেলার যাঁরা দুর্নীতির শিকার হয়ে থাকতে পারেন, তাঁরা নিজেদের নাম প্রকাশ করতে পারছেন না। বিজেপি যেহেতু বিরোধী রাজনৈতিক দল, তাই তারা পোস্টারে বিজেপির নাম ব্যবহার করতেই পারেন। তবে হুগলিতেও এই ধরনের দুর্নীতি থাকতে পারে বলে দাবি করেন।
[আরও পড়ুন: পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির অভিনব প্রতিবাদ, গরুর গাড়িতে চেপে মিছিল মদন মিত্রের]
এই বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল (TMC) বিধায়ক অসিত মজুমদার বলছেন, ”বিজেপি না অন্য কেউ পোস্টার লাগিয়েছে, তা বলতে পারব না। তবে মেহুল চোকসি ও অন্যান্য ব্যক্তি যারা দেশের টাকা লুট করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে প্রশ্ন তুলেছেন।