সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুটো টিম বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নামছে সম্পূর্ণ এক বৈপরীত্য আবহে। একটা টিমের অধিনায়ক যখন সাংবাদিক সম্মেলনে পরিষ্কার বলে যাচ্ছেন, এবারের টুর্নামেন্টে তাঁরা আন্ডারডগ। তাই তাঁদের উপর চাপটাও কম। আরেক অধিনায়ক আবার বলছেন, ফেভারিট হওয়ার চাপটা তাঁরা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন।
প্রথমজন অবশ্যই দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। দ্বিতীয়জন ইংল্যান্ড ক্যাপ্টেন ইয়ন মরগ্যান। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই এবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে কেউ ফেভারিটের তালিকায় রাখছেন না। প্রাক্তনরা তো বটেই এমনকী ডু’প্লেসি, স্টেইনরা নিজেরাও স্বীকার করে নিচ্ছেন, তাঁরা আন্ডারডগ। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে নামার আগেও সেই একই কথা শুনিয়ে রাখলেন ডু’প্লেসি। বললেন, “আমরা আন্ডারডগ হয়ে নামছি, আর এটা যদি ক্রিকেটারদের উপর থেকে চাপটা সরিয়ে দিতে পারে, তাহলে তার থেকে ভাল কিছু হয় না।”
[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের জমকালো উদ্বোধনে ব্যাট হাতে হতাশ করলেন ভারতীয় প্রতিনিধিরা]
ইংল্যান্ড অধিনায়ক মরগ্যান বলছিলেন, “লোকেরা দেখেছে যে আমাদের জেতার ক্ষমতা রয়েছে। তাই আমাদের ফেভারিট বলছে। এটা নিয়ে আমরা আলোচনাও করেছি। আমাদের নিয়ে এরকম প্রত্যাশার অবশ্য আরও একটা কারণ রয়েছে। গত দু’বছর ধরে আমরা খুব ভাল ক্রিকেট খেলছি। বিশেষ করে ঘরের মাঠে।” ডু’প্লেসিও বুঝে গিয়েছেন প্রথম ম্যাচে তাঁদের জন্য কী পরিমাণ চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে রয়েছে। তার উপর কাঁধের চোটের জন্য ডেল স্টেইন প্রথম ম্যাচে নেই। এনগিডিও প্রথম ম্যাচে খেলতে পারবেন কি না, সেটা নিয়ে ভালরকম অনিশ্চয়তা রয়েছে। প্রোটিয়া অধিনায়ক এটাও মেনে নিয়েছেন ইংল্যান্ড এবার ফেভারিট হয়ে শুরু করছে। “দেখুন আপনি ফেভারিট হোন না বা হোন, আপনাকে ভাল ক্রিকেট খেলতেই হবে। আর ইংল্যান্ডকে ফেভারিট বলার কারণও রয়েছে। ওরা ঘরের মাঠে খেলবে। আর ওরা ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলছে।”
দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে চোট-আঘাত সমস্যা থাকলেও ইংল্যান্ড হয়তো পুরো শক্তি নিয়েই নামতে পারবে। মার্ক উড, জোফ্রা আর্চার, লিয়াম ডওসনের চোট থাকলেও প্রথম ম্যাচের আগে সবাই ফিট হয়ে গিয়েছেন। মরগ্যান বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন, টিম প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী হয়ে টুর্নামেন্টে নামছে। বলছিলেন, “আমাদের ড্রেসিংরুমে সবাই প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী। কী করতে হবে, সেটা সবাই জানে। বিশ্বকাপের আর অ্যাসেজের প্রথম ম্যাচ সম্পূর্ণ আলাদা এক অনুভূতির। এটাই স্বাভাবিক।” মরগ্যান যে পরিমাণ আত্মবিশ্বাসী, সেই পরিমাণ সতর্কও। যতই স্টেইন না থাক, দক্ষিণ আফ্রিকাকে যে তারা হালকাভাবে নিচ্ছেন না, সেটা বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন। বলছিলেন, “ওরা গত এক-দেড়বছর ধরে স্টেইনকে ছাড়াই খেলছে। শেষবার যখন ওরা ইংল্যান্ডে এসেছিল, তখনও কিন্তু টিমে স্টেইন ছিল না। তবু ওরা ভাল খেলেছিল।”
[আরও পড়ুন: ধোনি না সৌরভ, নেতা হিসেবে এগিয়ে কে? একান্ত সাক্ষাৎকারে অকপট ভাজ্জি]
স্টেইন না থাকায়, দক্ষিণ আফ্রিকার পেস অ্যাটাকের নেতৃত্ব দেবেন কাগিসো রাবাদা। আইপিএলে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। ডু’প্লেসিও শুনিয়ে গেলেন, রাবাদাকে নতুন করে তাঁর আর কিছু বলার নেই। বললেন, “কেজি-কে (কাগিসো রাবাদা) আমার কিছু বলার নেই। ট্যাকটিক্যাল পয়েন্ট নিয়ে হয়তো ওকে কিছু বলতে পারি। কিন্তু কীভাবে বল করতে হবে, সেটা আমার থেকে ও বেশি ভাল জানে। সবচেয়ে ভাল হচ্ছে, ওকে ফ্রি থাকতে দেওয়া। বিশ্বকাপ এমনই একটা মঞ্চ যেখানে সবাই পারফর্ম করে দেখাতে চায়। কেজিও তাই। স্টেইনের না থাকা আমাদের কাছে বড় ক্ষতি। কিন্তু আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, এরকম কিছু একটা হতে পারে। বিশ্বকাপের টিম যখন করা হয়, তখন স্টেইন ষাট শতাংশ ফিট ছিল। তবে ফিট স্টেইন বোলিং অ্যাটাক আরও শক্তিশালী করে তুলবে। আমাদের বোলিং এক্স-ফ্যাক্টর। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কয়েকটা পরিবর্তন করতে হবে।”
The post বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে চোট-আঘাতই চাপে রাখছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে appeared first on Sangbad Pratidin.