সংবাদ প্রতিদিন ডিজাটাল ডেস্ক: সময় যত এগোচ্ছে, বাড়ছে হাওয়ার বেগ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৃষ্টিও। 'ডানা'র(Cyclone Dana) দাপটে দুর্যোগের আশঙ্কায় প্রহর গুনছে ওড়িশার উপকূল অঞ্চলের বাসিন্দারা। ওড়িশা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রায় ৪ লক্ষ মানুষকে সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। জেলায় জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল, ডাক্তার থেকে অ্যাম্বুল্যান্স।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামরা বন্দরের মাঝে বৃহস্পতিবার মাঝরাতে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় 'ডানা'। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওড়িশার ভদ্রক, বালাসোর, জগৎসিংপুর, কেন্দ্রাপাড়ার মতো জেলাগুলি ঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানা গিয়েছে। সঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। পাশের জেলাগুলোও প্রভাব পড়বে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
ওড়িশার মন্ত্রী সুরেশ পূজারি বলেন, "১৪টি জেলার মধ্যে ৩০০০টি গ্রাম আমরা চিহ্নিত করেছি। ঝড়ের আগে বিপজ্জনক এলাকায় থাকা ১০ লক্ষ ৬০ হাজার ৩৩৬ জনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।" ওড়িশা সরকারের পক্ষ থেকে ৯টি জেলার পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে ৯জন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সিনিয়র আইএস অফিসারদের পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "রাজ্য সরকার দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত। সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন ভয় পাবেন না। আমরা ক্রমাগত পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।"
যে ভিতরকণিকা এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে, সেই এলাকায় রয়েছে দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অভয়ারণ্য। সেক্ষেত্রে জলস্তর বৃদ্ধি পেলে কুমির ও জলজ প্রাণী বসতি এলাকায় প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। রাজনগরের ডিএফও সুদর্শন গোপীনাথ যাদব বলেন, "যদি জলস্তর বৃদ্ধি পায় তাহলে বসতি এলাকায় কুমির ঢুকে যেতে পারে। আমরা দুটি দল গঠন করেছি। তাদের প্রধান কাজ, কুমিরগুলোকে উদ্ধার করা। বাকি পাঁচটি দল গঠন করা হয়েছে বসতি এলাকা থেকে সাপ উদ্ধার করার জন্য।" সব মিলিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত ওড়িশা প্রশাসন।