নিরুফা খাতুন: আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসকে সত্যি করে নবমীর দুপুর থেকে আবহাওয়া বদল। কয়েক পশলা বৃষ্টিতেও ভিজছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। ক্রমশ ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। তার প্রভাবে দশমীতে রাজ্যের উপকূলে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। দশমী ও একাদশীতে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আপাতত এই গভীর নিম্নচাপ ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ২১০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং বাংলার দিঘা থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে অর্থাৎ বাংলাদেশের দিকে এগোচ্ছে। দশমীর দিন আরও শক্তি বৃদ্ধি হবে। বুধবার দুপুরে এটি বাংলাদেশ স্থলভাগে প্রবেশ করবে অতি গভীর নিম্নচাপ রূপে। তবে স্থলভাগে ঢোকার আগে এটি শক্তি হারাবে।
[আরও পড়ুন: টাকি পূবের বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে পুলিশের ‘দুর্ব্যবহার’, দশমীতে ইছামতীতে অশান্তি]
তবে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এর প্রভাবে দশমীতে কলকাতা-সহ হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে হতে পারে ভারী বৃষ্টি। বজ্রপাতের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। একাদশীর দিন কলকাতা-সহ হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়ায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। আবহাওয়ার উন্নতি হবে বেলার দিকে।
২৭ অক্টোবর, শুক্রবার কার্নিভালের দিন কলকাতায় আকাশ পরিষ্কার থাকবে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। দশমীর সকাল থেকে একাদশীর বিকেল পর্যন্ত উপকূলের জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়ায় সমুদ্র উত্তাল থাকবে। মৎস্যজীবীদের মঙ্গল ও বুধবার সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিকে, উত্তরবঙ্গে আপাতত সাতদিন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।