নব্যেন্দু হাজরা: ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ (Cyclone Jawad) নিয়ে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে সকলের। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পুরী ছুঁয়ে বাংলায় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। যার ফলে বাংলায় প্রবল ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, গত ৬ ঘণ্টায় ৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে ‘জাওয়াদ’। বিশাখাপত্তনম থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, পুরী থেকে ৪৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। ৫ ডিসেম্বর তা পুরী উপকূলে পৌঁছতে পারে। এরপর তা ধীরে ধীরে দুর্বল হতে পারে। তারপরই তা ক্রমশ বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায় এগিয়ে আসবে।
[আরও পড়ুন: জন্ম দিলেন কেন? চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা লড়ে কোটি টাকা জরিমানা আদায় তরুণীর]
ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদে’র প্রভাবে বাংলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। ইতিমধ্যে কলকাতা-সহ রাজ্যের আকাশ মেঘলা। বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিও শুরু হয়ে গিয়েছে। শনিবার পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে হাওড়া, হুগলি, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রামে। এছাড়াও কলকাতায় চলবে বৃষ্টি। ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে হাওয়া। রবিবার কলকাতা-সহ হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে ভারী থেকে অতি বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে হলুদ সতর্কতা জারি। এদিন ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। সোমবার ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে হাওয়া। এছাড়াও উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। জারি হলুদ সতর্কতা। উত্তাল হতে পারে সমুদ্র। তাই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ঝড়বৃষ্টিতে সব থেকে বেশি দক্ষিণবঙ্গে ক্ষতির আশঙ্কা। তবে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদে’র মোকাবিলায় তৎপর রাজ্য প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ১২টি জেলায় এনডিআরএফ টিম মোতায়েন করা হয়েছে। কলকাতার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জলনিকাশের জন্য অতিরিক্ত পাম্পের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। চালু করা হয়েছে বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর। বাতিল বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের ছুটিও। বিদ্যুৎ ভবনে ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুমের যোগাযোগ নম্বর দু’টি হল ৮৯০০৭৯৩৫০৩ ও ৮৯০০৭৯৩৫০৪।
দেখুন ভিডিও: