সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতবছর আমফান মোকাবিলায় কেন্দ্রের ভূমিকার সমালোচনা হয়েছে। এবছর ‘তওকতে’ নিয়েও কম প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়নি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে। তাই সাইক্লোন ‘যশ’ (Cyclone Yaas) মোকাবিলায় আগেভাগে প্রস্তুতি শুরু করল কেন্দ্র। রবিবার কেন্দ্রের শীর্ষ আধিকারিক, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর, টেলিকম, বিদ্যুৎ, বিমানমন্ত্রকের সচিব এবং মন্ত্রীদের সঙ্গে এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ অন্য মন্ত্রীরাও।
বৈঠকে মূলত সাইক্লোন কবলিত এলাকা থেকে মানুষকে কীভাবে দ্রুত সরিয়ে আনা যায়, তা নিশ্চিত করার দিকে জোর দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি, যে এলাকায় এই সাইক্লোনের প্রভাব পড়তে পারে সেই এলাকাগুলিতে কীভাবে বিদ্যুৎ এবং মোবাইল পরিষেবা চালু রাখা যায়, সেসব নিয়েও রবিবারের রিভিউ মিটিংয়ে আলোচনা করেছেন মোদি (Narendra Modi)। আধিকারিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, ঝড়ের পর যত দ্রুত সম্ভব কবলিত এলাকাগুলিতে বিদ্যুৎ এবং টেলিকম পরিষেবা চালু করতে হবে। সেই সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব ওই এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ দুরত্বে সরানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন মোদি। প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়ছে নৌসেনা (Navy) এবং উপকূল রক্ষা বাহিনীকেও।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে লকডাউন বাড়িয়েও আনলক শুরুর ইঙ্গিত কেজরিওয়ালের, নিষেধাজ্ঞা তুলছে মধ্যপ্রদেশও]
বৈঠকে আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, ‘যশ’ মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই বাংলা এবং ওড়িশার উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (NDRF) ৪৬টি দল মোতায়েন রয়েছে। আরও ১৩টি দলকে দ্রুত এয়ারলিফট করে আনা হচ্ছে ওই এলাকায়। উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং ভারতীয় নৌসেনা ওই এলাকায় জাহাজ এবং হেলিকপ্টার প্রস্তুত রেখেছে, যাতে দ্রুত উদ্ধারকাজে সুবিধা হয়। প্রস্তুত রয়েছে ভারতীয় সেনার ১০টি কলাম এবং ৩টি ইঞ্জিনিয়র টাস্ক ফোর্সও। বাহিনীকে প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ, প্রয়োজনে স্থানীয় গোষ্ঠী বা শিল্প কারখানাগুলির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে, উদ্ধারকাজে তাঁদের সাহায্য নেওয়া হোক। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর, ২৫ এবং ২৬ মে, ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে পারে বাংলার উপকূলবর্তী অঞ্চলে। পরিস্থিতি কী হয়, তা খতিয়ে দেখতে নিজে কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকও এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। এবার কেন্দ্রের তরফেও শুরু তৎপরতা।