সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূর্বাভাস মেনেই কর্ণাটকের উপকূলবর্তী একাধিক জায়গায় আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় ‘তাওকতে‘। রবিবার সকালেই কর্ণাটকের বিভিন্ন উপকূলে আছড়ে পড়েছে বছরের প্রথম সাইক্লোন। আবহাওয়া দপ্তরের তরফে ইতিমধ্যেই দক্ষিণের দুই রাজ্যের পাশাপাশি গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং গোয়াকে সতর্ক করা হয়েছে।
কেরলে ইতিমধ্যেই এই সাইক্লোনের (Cyclone Tauktae) প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। গতকাল সকাল থেকেই টানা বৃষ্টিপাত চলছে। রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে শনিবার থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। গতকাল রাতে কেরলের (Kerala) বহু জায়গায় কার্যত বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। কোথাও কোথাও জল জমেছে হাঁটু পর্যন্ত। তবে ঝড়ের প্রভাব তেমন দেখা যায়নি। যদিও মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন রাজ্য প্রশাসনকে সবরকমভাবে প্রস্তুত রেখেছেন। শনিবার রাতে তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, কেরলে ইতিমধ্যেই ১৭টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৫০০টি পরিবারকে সেখানে সরানো হয়েছে। আজ দিনভর কেরলে এই সাইক্লোনের প্রভাব পড়তে পারে।
[আরও পড়ুন: ফের কমল দৈনিক সংক্রমণ, দেশে একদিনে করোনাজয়ী সাড়ে তিন লক্ষের বেশি]
তবে, কেরলের থেকে এই সাইক্লোনের আরও ভয়াবহ প্রভাব পড়তে পারে কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র এবং গোয়ায়। কর্ণাটক এবং গোয়ায় ইতিমধ্যেই এই সাইক্লোন আছড়ে পড়েছে। কর্ণাটকের ৬টি জেলায় শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। বহু গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত। । প্রবল বৃষ্টির পাশাপাশি বইছে ঝোড়ো হাওয়া। একই অবস্থা গোয়াতেও। ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে গোয়াতেও বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। হাওয়া অফিস বলছে, আরব সাগরে তৈরি হওয়া সাইক্লোন তাওকতে (Cyclone Tauktae) বাড়িয়েই চলেছে শক্তি। ১২ ঘণ্টার মধ্যে তা মারাত্মক আকার নেবে। সর্বশক্তি নিয়ে মঙ্গলবারই গুজরাট (Gujrat) উপকূলে আছড়ে পড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ইতিমধ্যেই গুজরাট এবং দিউ উপকূলকে ‘সাইক্লোন নজরদারি’তে আনা হয়েছে। মহারাষ্ট্রেও চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে। বিশেষ করে মুম্বই শহরে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। মুম্বই থেকে বহু করোনা রোগীকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ১৫ দিনে ৯ বার বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের দাম, নয়া রেকর্ড কলকাতায়]
করোনা পরিস্থিতিতে এই সাইক্লোনের মোকাবিলা প্রশাসনের জন্য রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং কাজ। বিঘ্নিত হতে পারে টিকাকরণ এবং করোনা রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থাও। সার্বিকভাবে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে শনিবারই একটি উচ্চপর্যায়ের রিভিউ মিটিং করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সমস্তরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।