বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন সরকারি কর্মীরা। পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। আগামী বছর জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। বছর শেষে সুপ্রিম কোর্টে ছুটি পড়ে যাচ্ছে। সেই কারণেই জানুয়ারি মাসে দেশের সর্বোচ্চ আদালত খোলার পরে এই মামলার শুনানি হবে। ফলে বকেয়া ডিএ পাওয়ার বিষয়ে এখনও অথই জলেই রইলেন সরকারি কর্মীরা।
বুধবার বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চ মামলাটি তোলা হয়। কিন্তু মামলাটি শুনতেই রাজি হননি বাঙালি বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। শোনা যাচ্ছে, কোনও এক পক্ষ দীপঙ্কর দত্তর এজলাস নিয়ে আপত্তি জানান। ফলে তিনি মামলাটি শুনতে অস্বীকার করেন। তিনি নাকি জানান, “আমি আসায় কর্মীদের মধ্যে অতি-উৎসাহ তৈরি হয়েছে। তাই আমি শুনব না।”
[আরও পড়ুন: ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় এবার রঘুরাম রাজন, রাহুলের সঙ্গে পা মেলালেন RBI-এর প্রাক্তন গভর্নর]
গত ৫ ডিসেম্বর রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা মামলায় সবপক্ষের হলফনামা তলব করে শীর্ষ আদালত। আজ, ১৪ ডিসেম্বরের আগে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছিল। যে কারণে এদিনের শুনানির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন সরকারি কর্মীরা। কিন্তু মামলাটি শুনতেই চাইলেন না বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। শোনা যাচ্ছে, নতুন কোনও বিচারপতির অধীনে হবে পরবর্তী মামলা।
বকেয়া ডিএ চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। কলকাতা হাই কোর্টের পর মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। গত শুনানিতে শীর্ষ আদালতে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙভি। বলেছিলেন, “বকেয়া ডিএ মেটাতে হলে রাজ্যকে বিরাট আর্থিক বোঝা টানতে হবে।” তাই বিষয়টি বিবেচনা করার আরজি জানান তিনি। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেছিলেন, এটা সরকারি কর্মচারীদের অধিকার। সব রাজ্যে দেওয়া হয়। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর রাজ্য-সহ সকল পক্ষের হলফনামা তলব করে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এদিন ফের শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশ আবেদনকারীরা।