সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বকেয়া ডিএ’র দাবিতে আজ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন সরকারি কর্মীরা। ধর্মঘট রুখতে সরকারের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। বেতন কাটা ও চাকরিতে ছেদের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও অবস্থানে অনড় সরকারি কর্মীরা। ধর্মতলার অবস্থান মঞ্চ থেকে ধর্মঘটীদের হুঁশিয়ারি, “চাকরি ছেদ করে দেখান।” এদিকে এদিন সকালে ফের বকেয়া ডিএ প্রদানের সপক্ষে সুর চড়ালেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
সরকারি কর্মীদের কতটা সফল সেদিকেই নজর ছিল সকলের। কারণ, ধর্মঘট বানচাল করতে কড়া রাজ্য। অন্যদিকে ধর্মঘট সফল করতে মরিয়া আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার সকালে রাজ্যের নির্দেশিকা প্রসঙ্গে ধর্মতলা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বেনজির আক্রমণ করেন ধর্মঘটীরা। বলেন, “যিনি কর্মজীবনে ছেদের অর্ডার দিয়েছেন, তাঁর শিক্ষার অভাব। তা সত্ত্বেও বলছি, পারলে চাকরিতে ছেদ করে দেখান, তাহলে আদালতে যেতে হবে।” আন্দোলনকারীদের কথায়, “সরকার বলছে চাকরি ছেদ করব। কবে করবে? অবসরের সময়। তখন এই সরকারই থাকবে না।”
[আরও পড়ুন: ‘কেউ আমাকে পলিটিক্যালি গবেট ভাবতেই পারেন…’, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে কাকে বার্তা দিলেন মমতা?]
রাজ্য ও সরকারি কর্মীদের এই চাপানউতোরের মাঝে ধর্মঘটের কতটা প্রভাব পড়ল বঙ্গে? জানা গিয়েছে, মালদহ, মুর্শিদাবাদ-সহ একাধিক জেলায় মর্নিং স্কুল গুলিতে পড়ুয়ারা হাজির হয়েছে। কয়েকজন শিক্ষকও গিয়েছেন। তবে ক্লাস হয়নি। রেজিস্টারে সইও করেননি শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। অর্থাৎ ধর্মঘটের পক্ষেই তাঁরা। উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু স্কুলে ঝুলছে তালা। কলকাতার কয়েকটি কলেজের অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মীরাও শামিল ধর্মঘটে। আবার কলকাতার কয়েকটি স্কুলে দেখা গিয়েছে ক্লাস করাচ্ছেন শিক্ষকরা। তবে বেলা না বাড়লে স্পষ্ট হবে না যে ধর্মঘটের কতটা প্রভাব পড়ল সরকারি দপ্তর, স্কুল-কলেজে। এদিকে এদিন সরকারি চাকরিজীবীদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “সব রাজ্য যখন দিচ্ছে, তখন বকেয়া ডিএ এ রাজ্যেও দিতে হবে। ছুটি দিয়ে ডিএ পোশানো যায় না।”