সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেঙ্গালুরুতে গত বছর খুন করা হয়েছিল সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশকে। আর ২০১৩ সালে পুণেতে খুন হয়েছিলেন সমাজ সংস্কারক নরেন্দ্র দাভোলকর। এবার সিবিআই দাবি করল এই দুই খুনের মধ্যে যোগ রয়েছে। পুণে আদালতে একথা বলেছে সিবিআই। তদন্তকারী এই সংস্থা জানিয়েছে, দুইজনের খুন একই পিস্তল থেকে করা হয়েছিল।
নরেন্দ্র দাভোলকর ছিলেন কুসংস্কারবিরোধী এক সমাজ সংস্কারক। ২০১৩ সালের আগস্টে তিনি যখন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন, তখন তাঁকে খুন করা হয়। অন্যদিকে গৌরী লঙ্কেশকে হত্যা করা হয় তাঁর বাড়ির সামনেই। ২০১৭ সালে সেপ্টেম্বরে তাঁকে খুন করা হয়।
দাভোলকর হত্যা মামলার অন্যতম শুটার ছিলেন শচীন আন্দুরে। ৩০ আগস্ট পর্যন্ত তাকে সিবিাই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (প্রথম শ্রেণি) এইচ আর যাদব। একই হত্যা মামলায় জড়িত শারদ কালাসকরের হেফাজতও দাবি করেছে সিবিআই। মহারাষ্ট্র দুর্নীতিদমন শাখা আগেই কালাসরকে গ্রেপ্তার করেছিল। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল বোমা বানানোর সরঞ্জাম।
[ লোকসভা ভোটে ব্যালট ফেরানোর দাবিতে ফের সরব কংগ্রেস, তৃণমূল ]
আদালতে জানানো হয়েছে, দাভোলকরের খুনের তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, আন্দুরকে ৭.৬৫ মিমির পিস্তল দিয়েছিল লঙ্কেশকে হত্যার সঙ্গে অভিযুক্ত এক ব্যক্তি। তিনটি বুলটও দিয়েছিল সে। এই যোগসূত্র পাওয়ার পরই লঙ্কেশ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে সন্ত্রাসদমন শাখা যাদের গ্রেপ্তার করেছে, তাদের সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়েছে। সবাইকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে চায় সিবিআই। তাহলে তদন্তের কাজে সুবিধা হবে বলে জানানো হয়েছে। দাভোলকরের সঙ্গে লঙ্কেশের হত্যার যোগ খতিয়ে দেখতেই এই হেফাজতের আবেদন বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।
এদিকে ডিফেন্স কাউন্সিল আদালতকে জানিয়েছে সিবিআই বারবার নতুন নতুন তথ্য নিয়ে হাজির হচ্ছে। কিন্তু সিবিআইয়ের বক্তব্য যে পিস্তলটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তার ব্যালেস্টিক রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
[ চলন্ত ট্রেনেই দেদার শপিং, অভিনব উদ্যোগ ভারতীয় রেলের ]