সুব্রত বিশ্বাস ও বিপ্লবচন্দ্র দত্ত: জায়গা দখল, অপরিস্কার ট্রেন, এহেন একাধিক অভিযোগ তুলে রানাঘাটে রেল লাইন অবরোধ নিত্যযাত্রীদের একাংশের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা স্টেশন চত্বরে। দীর্ঘক্ষণ ধরে বন্ধ রেল চলাচল। চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল ৮ বেজে ৩৫ মিনিট নাগাদ রানাঘাট স্টেশনে আসে মেমু লোকাল। তখনই রেল লাইনে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন নিত্যযাত্রীদের একাংশ। কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, এই ট্রেনটি প্রতিদিনই লালগোলা থেকে সাড়ে ছ’টা নাগাদ রানাঘাট স্টেশনে আসে। সেখানে দীর্ঘক্ষণ ধরে পরিস্কার করা হয় ট্রেনটিকে। তারপর সেটি রানাঘাট থেকে রওনা দেয় শিয়ালদহের উদ্দেশ্যে। বুধবার সকালে লালগোলা থেকে আসার পথে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে দীর্ঘক্ষণ মাঝপথে আটকে ছিল ট্রেনটি। ফলে দেরিতে পৌঁছয় রানাঘাটে। যার জেরে ভিড়ও বেড়েছিল ট্রেনে। আর পরিস্কারের কাজও করা যায়নি।
[আরও পড়ুন: গভীর রাতে বর্ধমানে ভোজ্য তেলের কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা]
শোনা যাচ্ছে, একে ভিড় বাড়ায় রানাঘাট (Ranaghat) থেকে যারা উঠতে তাঁদের জায়গা দখল নিয়ে অশান্তি ও ট্রেন অপরিচ্ছন্নতার অভিযোগ তুলে রেল লাইনে বসে পড়েন যাত্রীদের একাংশ। পাশাপাশি মেমু লোকালের পরিবর্তে এএমইউ ট্রেনের দাবিও তোলেন তাঁরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বিক্ষোভের জেরে সকাল সাড়ে আটটা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা পুরোপুরি বন্ধ ছিল ওই লাইনের ট্রেন পরিষেবা। প্রবল ভোগান্তির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা।