নব্যেন্দু হাজরা: মুখ্যমন্ত্রীর হুঙ্কারের পরই পিছু হটল রেল! নিজেদের অবস্থান থেকে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে তাঁদের দাবি, দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক ভাঙার কথা রেল কখনও বলেইনি। গুজব ছড়িয়েছে। সম্প্রতি খবর ছড়ায় কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর রুটে মেট্রো পরিষেবা আরও মসৃণ করতে কিছুটা জমি চেয়েছে। তাতে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের স্কাইওয়াকের একাংশ ভাঙা পড়তে পারে। এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শেষ রক্তবিন্দু থাকতে স্কাইওয়াক ভাঙতে দেবেন না। এর পরই রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দেওয়া হল।
এদিন মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে রেলের কোনও বক্তব্য নেই। তবে দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক ভাঙা হবে সেকথা রেল কখনও বলেনি। এটা একটা গুজব ছড়িয়েছে।” তিনি আরও জানান, “আমাদের ওখানে কিছুটা এয়ার স্পেস দরকার একটা ক্রসওভার বানানোর জন্য। তার জন্য কটা পিলার বানাতে হবে। স্কাইওয়াক ভাঙার কোনও ব্যাপার নেই।” কৌশিক মিত্রর আরও দাবি, “সাংবাদিক সম্মেলনেও মেট্রোর জিএম সেদিন স্কাইওয়াক ভাঙার কথা বলেননি।’’ রাজ্য সরকার মেট্রো ও রেলের কাজে সহায়তাই করছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ভারতে ক্ষুব্ধ মুইজ্জুর মালদ্বীপ, জয়শংকর বলছেন, ‘কোনও গ্যারান্টি নেই’, কীসের ইঙ্গিত?]
কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রোর সংখ্যা বাড়াতে এবং চলাচল মসৃণ করতে ওই স্টেশন সংস্কারের কথা ভেবেছে কর্তৃপক্ষ। তার জন্য লাইনের দৈর্ঘ্য বাড়াতে চেয়ে রাজ্যের কাছে জমি চেয়েছে রেল। কিন্তু সেই জমি দিতে গেলে দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের একাংশ সরাতে হবে। ভাঙতে হবে বেশ কিছুটা। আর তাতে যে রাজ্যের সম্মতি নেই তা আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এদিন তা নিয়ে গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দেন, “দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক ভাঙতে দেব না। শেষ রক্তবিন্দু থাকতে ভাঙতে দেব না। প্রয়োজনে আমি বিকল্প রুট করে দেব। ” এর পরই নিজেদের অবস্থান বদল করল রেল।