গোবিন্দ রায়: আদালত অবমাননার নোটিস, ভর্ৎসনার জের। দাড়িভিট (Darivit) মামলায় আইনি ধাক্কা খেয়ে সোমবার ভারচুয়াল হাজিরা দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, সিআইডির এডিজি। কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে হাজিরা দেন তিনজন। বিচারপতি সহানুভূতি মিশ্রিত স্বরে জানান, অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে তাঁদের কথা বলা উচিত। প্রশাসন ও পুলিশের উচ্চ পদমর্যাদা সম্পন্ন কর্তাব্যক্তিদের 'চেয়ার' নিয়ে কর্তব্যের কথা মনে করিয়ে দেন। তাতে রাজ্যের এজি আদালতে জানান, NIA-কে অনেক তথ্য দেওয়া হয়েছে। এদিন NIA-ও জানায়, ইতিমধ্যে মামলা দায়ের হয়েছে।
ছ বছর আগেকার এক মামলা নিয়ে এই জটিলতা শুরু। ২০১৮ সালে উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) দাড়িভিটে বিদ্যালয়ে বাংলা শিক্ষক নিয়োগের জটিলতা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ। অভিযোগ, অশান্তি থামাতে গুলি চালায় পুলিশ। জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধের মাঝে পড়ে প্রাণ হারায় দুই ছাত্র – রাজেশ সরকার, তাপস বর্মন। তা নিয়ে সেসময় রাজ্য রাজনীতির জল গড়িয়েছিল বহু দূর। বাংলার বদলে ওই স্কুলে উর্দু শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মমতা সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছিল বিজেপি। বলা হচ্ছিল, বাংলা ভাষার অমর্যাদা করা হচ্ছে। রাজেশ সরকার, তাপস বর্মনকে ভাষার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে বলে বার বার অভিযোগ উঠেছিল।
[আরও পড়ুন: অভিষেকের পর রাহুল গান্ধী, এবার তল্লাশি কংগ্রেস নেতার কপ্টারে]
সেই ঘটনায় NIA-কে তদন্তভার দেওয়া হয়। কিন্তু আদালতের নির্দেশের পরও কেন এনআইএ-কে তথ্য হস্তান্তর করা হল না কেন? তা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, সিআইডি-র এডিজির কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল হাই কোর্ট। কিন্তু তাতে তাঁরা কেউ জবাব না দেওয়ায় তাঁদের সশরীরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয় আদালতের তরফে। কিন্তু সেই নির্দেশও না মানায় কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
[আরও পড়ুন: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে শেয়ার বাজারে বিরাট ধস, ৮ লক্ষ কোটি লোকসানের মুখে লগ্নিকারীরা!]
এর পর সোমবার তিনজনেই ভারচুয়ালি হাজিরা দেন কলকাতা হাই কোর্টে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, ''আপনাদের উচিত AG-র সঙ্গে কথা বলা। উনি আইন জানেন। আমরা জানি, আপনাদের উপর অনেক চাপ থাকে। তবে চেয়ারের সম্মান রাখতে হবে।'' এজি জানান, NIA-কে অনেক তথ্য হস্তান্তর করা হয়েছে। পালটা NIA-ও জানিয়েছে, ইতিমধ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে।