অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের হারে উল্লাসে ফেটে পড়েছিলেন বাংলাদেশিদের একাংশ। এবার তারই খেসারত দিতে হচ্ছে সে দেশ থেকে এদেশে বেড়াতে আসা পর্যটকদের। সিকিম ও দার্জিলিংয়ের একাধিক হোটেল বাংলাদেশিদের বুকিং নেওয়া হচ্ছে না বলে খবর। সে দেশের পর্যটকদের জন্য় দরজা বন্ধ করে দিয়েছে পাহাড়ের একাধিক হোটেল। যদিও দার্জিলিং বা সিকিমের হোটেল সংগঠনের তরফে এধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই খবর।
ঘটনার সূত্রপাত ১৯ নভেম্বর। বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে দুরমুশ হয়েছিল ভারত। এর পরই সীমান্তের ওপারে থাকা বহু মানুষ ফেটে পড়েছিলেন উল্লাসে। সোশ্যাল মিডিয়া ভারতবিরোধী মিমে ছেয়ে গিয়েছিল। রীতিমতো ভারতীয় ক্রিকেট, ক্রিকেটারদের পাশাপাশি ভারতের ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে অপমান করেন বাংলাদেশিদের একাংশ। যার প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন এদেশের বাসিন্দারা। সেই ‘অপমানে’র ‘বদলা’ নিতেই এবার বাংলাদেশিদের বুকিং দিচ্ছে না সিকিম ও দার্জিলিংয়ের হোটেল মালিকদের একাংশ।
[আরও পড়ুন: মিড ডে মিলে ‘দুর্নীতি’র তদন্তে CBI দাবি শুভেন্দুর, পালটা ব্রাত্যর]
সূত্রের খবর, সিকিম (Sikkim) ও দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) ১১টি হোটেলে বাংলাদেশিদের ঘর দেওয়া হচ্ছে। এরকমই এক হোটেল চেনের মালিক বর্ধমানের বাসিন্দা রাম সরকার জানিয়েছেন, তাঁদের ৪ হোটেলে বাংলাদেশিদের ঘর দেওয়া হচ্ছে না। তবে সংগঠিতভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কিছু হোটেল মালিকের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কারণ হিসেবে তাঁদের দাবি, বিশ্বকাপে ভারতে হারের পর চূড়ান্ত অপমান করেছিলেন বাংলাদেশিদের একাংশ। এা কারই প্রতিবাদ। আবার বহু বাংলাদেশি ভিসার ছবি পাঠিয়ে এক-একটি হোটেলে ৪-৫টি রুম বুক করে রাখেন। কিন্তু তাঁরা আসেন না। এলেও কম বাজেটের হোটেল থেকে চলে যান। ফলে হোটেল মালিকদের আর্থিক ক্ষতি হয়ে যায়। আর তাই এবার বাংলাদেশিদের দার্জিলিংয়ের একাধিক হোটেলে প্রবেশ ‘নিষিদ্ধ’ করা হয়েছে।
যদিও এ প্রসঙ্গে দার্জিলিং হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজয় খান্না বলেন, “সংগঠন এমন কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এটা ব্য়ক্তিগত সিদ্ধান্ত হতে পারে। খোঁজ নিয়ে দেখছি।”