shono
Advertisement

এনডিএ-কে ‘ধরে’দেশের ফিরতে চায় দাউদ, রাজ ঠাকরের দাবিতে শোরগোল

দাউদ কি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির 'ট্রাম্প-কার্ড'? উঠছে প্রশ্ন
Posted: 07:45 PM Sep 21, 2017Updated: 02:18 PM Sep 21, 2017

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কদাউদ ইব্রাহিম। মুম্বই বিস্ফোরণের মূল চক্রী কোথায়? তার জন্য ‘র’-এর গোয়েন্দাদের তৎপরতার শেষ নেই। মঙ্গলবার দাউদের ভাইকে জালে তুলেছে মুম্বই পুলিশ। ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় থাকা দাউদ নাকি ভারতে ফিরবে। এর জন্য আত্মসমর্পণের মঞ্চ তৈরি করছে কুখ্যাত ডন। এনিয়ে বিজেপি শাসিত সরকারের সঙ্গে কথাবার্তাও চলছে তার। এমনই বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন রাজ ঠাকরে। মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধানের দাবি, বিজেপিকে ধরে ভারতে আসার পথ পরিষ্কার করছে দাউদ। ফেসবুকে এসে রাজ ঠাকরের এই দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

Advertisement

[ভয়ঙ্কর রূপ সদ্যোজাতর, মুখ দেখে কী করলেন বাবা-মা?]

কিন্তু কেন দাউদের এমন চাল। তার ব্যাখ্যাও রাজ। তাঁর যুক্তি বয়স হয়েছে দাউদের। শারীরিক অবস্থাও খুব একটা ভাল নয়। এমন পরিস্থিতিতে ভারতে ফিরতে চায় সে। এরই সুযোগ নিতে মরিয়া বিজেপি। দাউদের সঙ্গে সরকার পক্ষের কথাবার্তা চলছে। ঠিকমতো বোঝাপড়া হয়ে গেলেই অত্মসমর্পণ করবে কুখ্যাত ডন। আর এই আত্মসমর্পণকে বিরাট সাফল্য হিসেবে দেখাবে বিজেপি। একেই তুরুপের তাস করে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে।

১৯৯৩ সালে বাণিজ্যনগরীতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে নিহত হন ২৭০ জন। গুরুতর জখম হয়েছিলেন সাতশোরও বেশি মানুষ। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দাউদ ইব্রাহিম। আইএস, আল কায়েদা জঙ্গিগোষ্ঠীর মতোই দাউদকেও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসাবে চিহ্নিত করেছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বর্তমানে দাউদের ঠিকানা পাকিস্তানের করাচির ৩০ নম্বর রাস্তার ৩৭ নম্বর ডিফেন্স হাউজিং অথরিটি। বিশাল সেই বাড়িটি পাকিস্তানের ‘হোয়াইট হাউস’ নামেই পরিচিত। দাউদকে ভারতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বহুবার ইসলামাবাদকে চাপ দিয়েছে নয়াদিল্লি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাজের কাজ কিছু হয়নি।

[এবার মদ কিনতেও লাগবে আধার কার্ড!]

এদিকে কিছুদিন আগেই সন্ত্রাসবাদ আইনে দেশবিরোধী কার্যকলাপ রোধে মুম্বই হামলার মূলচক্রীর প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ব্রিটেন সরকার। ভারত সরকারের বিদেশনীতির বেশ বড় সাফল্য হিসেবে ধরা হয়েছিল সেই ঘটনা। এর কিছুদিন যেতে না যেতেই মুম্বইয়ের এক ব্যবসায়ীকে হুমকি ফোনে জোর করে তোলা চাওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় দাউদের ছোট ভাই ইকবাল কাসকারকে। এ বিষয়ে বিদেশ দপ্তরের মন্ত্রী ভি কে সিংকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি অনুকূল হচ্ছে’। নিজের বক্তব্যে এই ঘটনাকেই সুপরিকল্পিত বলে ইঙ্গিত করেছেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান। এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে বেশ কোণঠাসা রাজ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা  দাউদ নামের তাস খেলে ফের রাজ্য রাজনীতিতে নিজেকে প্রাসঙ্গিক করতে চাইছেন বাল ঠাকরের ভাইপো।

[রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফিরে যেতে হবে, ফের হুঁশিয়ারি রাজনাথের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement