সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “আমাকে মেরে ফেলতে পারে মাফিয়ারা। আমার প্রাণসংশয় রয়েছে।” পুলিশের কাছে অভিযোগে এমনটাই জানিয়েছিলেন সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের হিন্দি চ্যানেলের এক সাংবাদিক। কিন্তু অভিযোগ জানানোর পর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। রবিবার পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রতাপগড়ের সাংবাদিক সুলভ শ্রীবাস্তবের। পুলিশ বাইক দুর্ঘটনার তত্ত্ব খাঁড়া করলেও, বিরোধীদের অভিযোগ মাফিয়াদের বিরুদ্ধে মুখ খোলারই শাস্তি পেলেন সুলভ। দুর্ঘটনা নয়, তাঁকে মেরে ফেলেছে মাফিয়ারা। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো প্রশ্নের মুখে যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পুলিশের কাছে নিজের প্রাণসংশয়ের আশঙ্কার কথা জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছিলেন সুলভ। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, দিনকয়েক আগে রাজ্যের লিকার মাফিয়াদের নিয়ে একটি খবর করেছিলেন। বিভিন্ন পোর্টাল এমনকী তাঁর চ্যানেলেও গত ৯ জুন খবরটি পরিবেশন করা হয়। যা নিয়ে যথেষ্ট শোরগোল পড়ে যায়। কানাঘুষোয় জানতেও পারেন, তার উপর ক্ষুব্ধ লিকার মাফিয়ারা। এই খবরটি করায় সুলভকে প্রাণে মেরে ফেলার সিদ্ধান্তও নাকি নেওয়া হয়েছে। পুলিশকে লেখা চিঠিতে সুলভ আরও জানান, খবরটি করার পরদিন থেকেই বাড়ি থেকে বেরলে তাঁকে কেউ বা কারা ফলো করছে। আর তাই প্রাণসংশয়ের আশঙ্কায় ভুগছেন তিনি। পরিবারের লোকেরাও তাঁকে নিয়ে বেশ চিন্তিত। আর সেকারণেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: কোনও বন্ধক ছাড়াই করোনা চিকিৎসায় নেওয়া যাবে ৫ লক্ষ টাকার ঋণ, বড় ঘোষণা SBI-এর]
কিন্তু এই অভিযোগ জানানোর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। পরদিনই বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সুলভের। পুলিশ জানিয়েছে, একটি অনুষ্ঠান কভার করে রবিবার রাত ১১টায় বাড়ি ফিরছিলেন সুলভ। তখনই বাইক থেকে পড়ে যান তিনি। পরবর্তীতে স্থানীয় কয়েকজন শ্রমিক আহত সুলভকে দেখতে পান। তাঁরাই ওই সাংবাদিকের ফোন থেকে তাঁর বন্ধুদের ফোন করেন। এরপর বন্ধুরা এসে সুলভকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু এই ঘটনার পিছনে লিকার মাফিয়াদেরই হাত দেখছেন সুলভের পরিবার থেকে শুরু করে বিরোধীরা। ইতিমধ্যে টুইটে যোগী প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। উত্তর প্রদেশ পুলিশের সমালোচনাতেও মুখর হয়েছেন তিনি।