অর্ক দে, বর্ধমান: মন্দিরের পিছনের বাঁশবন থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) জামালপুরে। রবিবার সকালে জলেশ্বর শিবমন্দিরের পিছন দিকে একটি ঝোপে মহিলার মৃতদে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁর মাথা থেঁতলানো ছিল বলে জানাচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। জামালপুর (Jamalpur) থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। মহিলা পরিচয় জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। তবে মন্দিরের পিছন থেকে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়েছে এলাকায়।
জামালপুরের জো গ্রামের জলেশ্বর মন্দির (Temple)। রাস্তা থেকে একটু ভিতরের দিকের মন্দিরে দর্শনার্থী ছাড়া বিশেষ কারও যাতায়াত তেমন নেই। মন্দির বন্ধ হওয়ার পর এলাকা শুনশানই থাকে। রবিবার সকালের দিকে মন্দিরের পিছনের বাঁশবনে মৃত অবস্থায় মহিলাকে পড়ে থাকতে দেখেন। দেহটি দেখে তাঁরা শিউড়ে ওঠেন। মহিলার মাথা থেঁতলানো। মুখ প্রায় বোঝাই যাচ্ছে না। তা সত্ত্বেও মৃতা যে এলাকার কেউ নন, তা বেশ বুঝতে পারেন এলাকাবাসী। তাঁদের অনুমান, মহিলাকে বাইরে কোথাও খুন করে এনে দেহ লোপাটের জন্য এখানে ফেলা হয়েছে। যেহেতু এলাকাটি শুনশান, তাই এই জায়গাকেই হয়ত বেছে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
[আরও পড়ুন: ‘খালি কলেজটা খুলতে দাও…’, ফের বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে হুঁশিয়ারি অনুব্রতর]
খবর পেয়ে জামালপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছয়। দেহটি উদ্ধারের পাশাপাশি অকুস্থল থেকে একটি লোহার রড উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান, ওই অস্ত্র দিয়েই মহিলার মাথায় আঘাত করা হয়েছে। মহিলার বয়স আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তাঁর পরিচয় এখনও জানা যায়নি বলে খবর। কে বা কারা তাঁকে এমন নৃশংসভাবে খুন করল, খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা, সেসবের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘এভাবে উন্নয়ন হয়?’, দিলীপের উলটো পথে হেঁটে খড়গপুরে রেলের কাজ নিয়ে প্রশ্ন হিরণের]
এই ঘটনা মনে করিয়ে দিল ২০১৮সালে জম্মু-কাশ্মীরর কাঠুয়া গণধর্ষণ (Kathua Rape) ও হত্যাকাণ্ডকে। ৮ বছরের বালিকাকে মন্দির চত্বরে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল। তা নিয়ে দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনায় দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তিও হয়। এক্ষেত্রেও মন্দিরের পিছন থেকে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তারই ছায়া দেখতে পাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।