সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ পাকিস্তান (Pakistan)। ফ্রান্স-বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল অবস্থাতেই এবার ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Deadly blast) বালোচিস্তানের (Balochistan) এক বিলাসবহুল হোটেলে। সেই হোটেলেই ছিলেন চিনের (China) রাষ্ট্রদূত-সহ ৪ জন চিনা প্রতিনিধি। যদিও সেই সময়ে তাঁরা হোটেলে না থাকায় নিস্তার পেয়েছেন। বিস্ফোরণে ৪ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে। আহত ১২। ওই চিনা প্রতিনিধিদের লক্ষ্য করেই হামলা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী ঘটেছিল? জানা যাচ্ছে, বুধবার বেশ রাতের দিকে বালোচিস্তানের কোয়েত্তা শহরের সেরেনা হোটেলের বাইরে কার পার্কে রাখা একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। আইইডি বিস্ফোরক দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়কমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের সময় চিনা প্রতিনিধিরা কেউই হোটেলে ছিলেন না। তাঁরা অন্যত্র একটি বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি।
[আরও পড়ুন: মায়ানমারে গ্রেপ্তার জাপানের সাংবাদিক, জুন্টার উপর চাপ বাড়াল টোকিও]
বালোচিস্তান অঞ্চলে অশান্তি ও নাশকতামূলক ঘটনা নতুন নয়। গত অন্তত ১০ বছর ধরেই অশান্ত এখানকার পরিবেশ। যার পিছনে প্রধানতম কারণ স্থানীয় জনতার ক্ষোভ। প্রচুর পরিমাণে গ্যাস ও ধাতব খনিজ পাওয়া যায় বালোচিস্তানে। তা সত্ত্বেও এর থেকে বালোচ বাসিন্দারা কোনও ভাবেই আর্থিক দিক থেকে লাভবান হন না। পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে শোষণের অভিযোগের সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে চিনের প্রতি ক্ষোভ। চিনা-পাকিস্তান ইকনোমিক করিডরের মাধ্যমে এখানে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে বেজিং। এর ফলে অনেক নতুন কর্মসংস্থান হলেও সেই অর্থে লাভবান হতে পারেনি স্থানীয় জনতা। ফলে ক্ষোভ আরও জোরাল হয়েছে। এই সব কারণেই ওই অঞ্চলগুলি বারবার অশান্ত হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালে একটি বিলাবহুল হোটেলে বন্দুকধারীর গুলিতে ৮ জন মারা যান। গত জুনেও পাকিস্তানের স্টক এক্সচেঞ্জে হামলা হয়েছিল। সেই সব হামলার ক্ষেত্রে দায় স্বীকার করেছিল বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি। এখন দেখার এই বিস্ফোরণের দায় শেষ পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন নেয় কিনা।