বিধান নস্কর, দমদম: ফের রাজ্যের সংশোধনাগারে মৃত্যু হল এক বিচারাধীন বন্দির। পরিবারের অভিযোগ, জেলে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। শনিবার সকালে বন্দির বাড়িতে ফোন করে সেই সংবাদ দেওয়া হয়। খবর পাওয়ার জেলের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা।
মৃত বন্দির নাম রাজ দত্ত। বয়স ২০ বছর। চলতি বছর ২৮ এপ্রিল বাগুইআটির অর্জুনপুরের একটি খুনের ঘটনায় ১৯ জন-সহ রাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশি হেফাজতের পর জেল হেফাজতে পাঠানো হয় তাঁদের। বিচার প্রক্রিয়ায় চলাকালীন দমদম সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। কয়েকদিন আগে তাঁর শরীর খারাপ হয়। পরিবারের তরফে আদালতে বিষয়টি জানানো হয়। আদালত থেকে সেই সংক্রান্ত কাগজ সংশোধনাগারে আসলেও জেলার বিষয়টিকে পাত্তা দেননি বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: পুজোর আগেই পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন! আগামী মাসেই বৈঠকে কেপিপি-র কেন্দ্রীয় কমিটি]
তার পরই আজ শনিবার পরিবারকে ফোন করে বন্দির মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়। জেলার কেন রাজাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি পরিবারের তরফে সেই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। মৃতের দিদি বলেন, "দুই দিন আগে থেকে আমার ভাইয়ের অস্বাভাবিক জ্বর। রক্তবমি হচ্ছিল। আমরা আদালতের কাছে পিজি হাসপাতালে ভর্তি করার আবেদন জানাই। তার পরও জেলার বিষয়টি পাত্তা দেননি।"
পরিবারের আরও অভিযোগ, যে খুনের মামলায় রাজা ও অন্য যুবকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁরা দোষী নন। প্রধান অভিযুক্তরা বাইরে। তাঁদের বাঁচাতে পুলিশ ও এলাকার বড় নেতারা এই যুবকদের জেলে পাঠিয়েছে বলে দাবি করছেন মৃতের পরিবার। মৃতের এক আত্মীয় বলেন, "সব নির্দোষ ছেলেদের জেলে রেখেছে। আসল দোষীরা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এলাকার বড় নেতারা নিজেদের পিঠ বাঁচাতে এই কাজ করছে। মৃতের পরিজনেরা ঘটনার পূর্নাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।