সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় নয়া মোড়। নিহত তপন কান্দুকে তৃণমূলে (TMC) যোগদানের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তাঁর ভাইপোর সঙ্গে ঝালদা থানার আইসি-র টেলিফোনিক কথোপকথন ভাইরাল (Viral) হয়ে গিয়েছে। তাতেই ইঙ্গিত, তপন কান্দু তৃণমূলে যোগ দেবেন কি না, তা জানতে একাধিকবার তাঁর ভাইপোর সঙ্গে যোগাযোগ করেন আইসি। যদিও ভাইরাল হওয়া কথোপকথনের সত্যতা যাচাই করেনি ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’। স্বামীর হত্যাকাণ্ডে আইসি-র যোগ থাকার অভিযোগ তুলে তপন কান্দুর স্ত্রী জেলা পুলিশ সুপারকে চিঠি পাঠিয়েছেন।
রবিবার বিকেল নাগাদ ঝালদায় পুরসভার নবনির্বাচিত কংগ্রেস (Congress) কাউন্সিলর তপন কান্দুকে গুলি করে খুন করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ তপন কান্দু ঝালদা পুর শহরে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর স্টেশন রোডের বাড়ি থেকে বেরিয়ে হাঁটার সময় ঝালদার দিক থেকে আসা একটি মোটরবাইকে থাকা দু-তিনজন আততায়ী তপন বাবুকে পিছন থেকে মাথায় গুলি করে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। নিহত কাউন্সিলরের সঙ্গে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গুলির আওয়াজ শুনে তাঁরা রাস্তা থেকে চাষের জমিতে চলে যান। আততায়ীরা দু’রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থল থেকে বিকালেই পুলিশ গুলির খোল ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করে।
[আরও পড়ুন: টুর্নামেন্ট চলাকালীনই বুলেটে ঝাঁজরা কবাডি খেলোয়াড়, ক্যামেরাবন্দি চাঞ্চল্যকর মুহূর্ত]
ঘটনার ২ দিন কেটে গেলেও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তাতে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তো উঠেছেই। নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী সরাসরি ঝালদা থানার আইসি-র (IC) সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। পরে তিনি জেলার পুলিস সুপার এস সেলভামুরুগনের কাছে আইসি সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান। নিরপেক্ষতার জন্য সিবিআই তদন্তের দাবিও তোলেন।
[আরও পড়ুন: ‘ইসলামে হিজাব বাধ্যতামূলক নয়’, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পোশাক বিতর্কে রায় কর্ণাটক হাই কোর্টের]
আর মঙ্গলবার বেলা গড়াতেই ভাইরাল হয়ে পড়ল ঝালদা থানার আইসি-র সঙ্গে নিহতের ভাইপোর কথোপকথন। তপন কান্দুর ভাইপোর মিঠুন কান্দু এমনিতে কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁকেই একাধিকবার ফোন করে কাকা তৃণমূলে যোগ দিতে আগ্রহী কি না, তা জানতে চান। এমনকী তৃণমূলে যোগ দিতে প্রচ্ছন্ন চাপও দেওয়া হয় আইসি-র তরফে। মিঠুনক বারবার বলা হয়, কাকার সঙ্গে কথা বলে ঝালদা পুরবোর্ড গঠনের আগেই যেন তপনবাবু নিজের সিদ্ধান্ত জানান। তবে তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেও যে চেয়ারম্যান হবেন না, তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়। যদিও ভাইরাল হওয়া কথোপকথনের সত্যতা যাচাই করেনি ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’। তবে এই কথোপকথন ভাইরাল হওয়ায় হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নতুন মোড় নিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।