সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়াবহ ভূমিকম্পে হাইতিতে (Haiti) বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। এপর্যন্ত কমপক্ষে ১ হাজার ২৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সেই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ভেঙে পড়া বাড়িঘরের নিচে এখনও অনেকেই চাপা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করছে উদ্ধারকারী দলগুলি।
[আরও পড়ুন: Taliban capture Afghnaistan: কত টাকার মালিক এই জঙ্গিগোষ্ঠী? কোথা থেকে আসছে অর্থ?]
গত শনিবার রিখটার স্কেলে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে হাইতি। রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের ১২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। প্রচণ্ড ভূকম্পনে ছোট-বড় সমস্ত বাড়ি চোখের নিমেষে ধুলোয় মিশে যায়। এমনকী অনেকে বাড়ির বাইরে বেরনোর সময়ও পাননি। এর মধ্যেই আবার রবিবার সেখানে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার কথা ছিল। এই প্রসঙ্গে হাইতির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি জানিয়েছেন, ঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে বেশ কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার কাজ চলছিল। তারমধ্যে ভূমিকম্পের ঘটনা গোটা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। ইতিমধ্যেই হাইতি সরকারকে অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। যদিও দ্বীপরাষ্ট্রের সরকার জানিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পুরো না জানা পর্যন্ত, তারা আন্তর্জাতিক দুনিয়ার থেকে কোনও রকম আর্থিক সাহায্য চাইবে না। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তদের সমস্ত রকমের সাহায্য করবে সরকার। এর জন্য আমাদের প্রশাসনের হাতে থাকা সমস্ত শক্তিপ্রয়োগ করা হবে।”
উল্লেখ্য, হাইতিতে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম-সহ উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে আমেরিকা। রাডার, সোনারের মতো যন্ত্র নিয়ে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া মানুষের অনুসন্ধান চালাচ্ছে তারা। গত জুলাই মাসেই ক্যারিবিয়ান দেশটির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে নিজের বাসভবনেই খুন হন হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসে (Jovenel Moise)। হামলায় গুরুতর আহত হন তাঁর স্ত্রী। একদল অজ্ঞাতপরিচয় সশস্ত্র ব্যক্তি প্রেসিডেন্টের বাসভবনে আকস্মিকভাবে ঢুকে পড়ে হামলা চালায়। ওই ঘটনায় আহত হন ফার্স্ট লেডি মার্টিন মোইসে। কেনই বা হামলা চালাল তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। এহেন ডামাডোলে ভূমিকম্পের ঘটনায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে দেশটিতে।