সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্যা বিপর্যস্ত অসমে (Assam) বেড়েই চলেছে প্রাণহানির সংখ্যা। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে মঙ্গলবার। সব মিলিয়ে অসমে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৮৯। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার বাড়ি। এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে সাতজনের। জলে ডুবে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে কামরূপ জেলায়। একজন নিখোঁজ বলেও জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে দারাং, করিমগঞ্জ, তামুলপুর এবং উদালগুড়ি জেলাতেও একজন করে প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে ধস নেমেছে অসমের (Assam Flood) নানা অঞ্চলে। ইতিমধ্যেই প্রায় দু’হাজার ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। ৮৮ হাজার মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। নিখোঁজ থাকা প্রায় চার হাজার মানুষকে মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, বন্যায় প্রায় ষাট হাজার গবাদি পশু ভেসে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন:‘পয়গম্বরকে নিয়ে নুপূর শর্মার মন্তব্যে ধাক্কা খেয়েছে ভারতের ভাবমূর্তি’, মন্তব্য অজিত ডোভালের]
ইতিমধ্যেই উদ্ধার কাজে নেমেছে সেনা। ভারতীয় সেনার (Indian Army) এই উদ্ধার কাজের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন গজরাজ’। পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে আধা সেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং দমকল বাহিনীও। সূত্রের খবর, জলের তলায় রয়েছে ৫ হাজারেরও বেশি গ্রাম।
উল্লেখ্য, বন্যায় অসমের ৩৩ জেলাই কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে বজলি, বক্সা, বরপেটা, গোয়ালপাড়া, কামরূপ, করিমগঞ্জ, লখিমপুর, মাজুলি, নগাওঁ, নলবাড়ি, শিবসাগরের। বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪। ফলে চলতি বছরে বন্যা ও ধসে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭১। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নগাওঁর। সেখানেই ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার মানুষ বন্যা বিধ্বস্ত। গতকালই জানা গিয়েছিল, প্রায় ৬৬,৪৫৫ হেক্টর চাষের জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে।