সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসমে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। বন্যার কবলে কমপক্ষে ৭ লক্ষ মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত জেলার সংখ্যা বেড়ে ২৯।
অসম রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা অথরিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, অসমের (Assam Flood) প্রায় ২৯টি জেলায় বন্যার প্রভাব পড়েছে। যার মধ্যে নগাঁও, হোজাই, কাছার এবং দারাংয়ের অবস্থা সবচেয়ে করুণ। নগাঁও জেলায় কমপক্ষে তিন লক্ষ ৩৬ হাজার মানুষ বানভাসী। আবার কাছার ১ লক্ষ ৬৬ হাজার, হোজাই ১ লক্ষ ১১ হাজার এবং দারাংয়ে অন্তত ৫২ হাজার ৭০৯ জন মানুষ বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত। ঘরছাড়া অসমের লক্ষ লক্ষ মানুষ। রেললাইনে রাত কাটাচ্ছে অন্তত ৫০০টি পরিবার।
[আরও পড়ুন: মাঝ সমুদ্রে টানটান অভিযান, লাক্ষাদ্বীপের কাছে উদ্ধার দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের হেরোইন]
শুক্রবারই কাছার, লখিমপুর ও নগাঁওয়ে দুই শিশু-সহ চারজন প্রাণ হারিয়েছিলেন। শনিবার সেই সংখ্যা বেড়ে হল ১৪। সাধারণ মানুষ বাড়ি-ঘর তো হারিয়েছেনই, সেই সঙ্গে ফসলের জমিরও বিপুল ক্ষতি হয়েছে। ৮০ হাজার হেক্টরেরও বেশি ফসলের জমি বন্যার জলে ক্ষতিগ্রস্ত। জলের নিচে চলে গিয়েছে ২ হাজার ২৫১টি গ্রাম। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ। এছাড়াও ২১ হাজারের বেশি বানভাসি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে এসেছে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। আবার গত দু’দিনে শুধু ডিমা হাসাও থেকে প্রায় ২৭০ জনকে উদ্ধার করে শিলচর এনেছে বায়ুসেনা। তবে আপাতত বৃষ্টি বন্ধ হওয়ায় খানিকটা স্বস্তিতে অসমবাসী।
পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নেমেছে প্রশাসন। কাছার ও ডিমা হাসাওয়ে বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে দু’কোটি টাকা করে অর্থ সাহায্য ঘোষণা করেছে। এর পাশাপাশি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচটি জেলার মানুষ যাতে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন, তার জন্য চারদিনের আনলিমিটেড ডেটা পরিষেবা দিচ্ছে রিলায়েন্স জিও।