সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নৈহাটির বাজি কারখানার বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও ১ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম মুন্না সাউ। জানা গিয়েছে, মুন্না নামে ওই যুবকই দেশের বিভিন্নপ্রান্ত মূলত মধ্যপ্রদেশ থেকে সড়কপথে বাজি তৈরি উপকরণ এরাজ্যে আনত ও তা নানা জায়গায় তা পৌঁছে দিত। ধৃত মুন্না গোটা পূর্ব ভারতে বেআইনি বাজি ব্যবসার জাল বিছিয়েছিল বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।

বছরের শুরুতেই নৈহাটির দেবকের মামুদপুরে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। আচমকাই প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। সেই সময় বাজি কারখানার ভিতরই ছিলেন কয়েকজন কর্মী। খবর পাওয়ামাত্রই দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দমকল কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। ওই কাজে হাত লাগান স্থানীয়রাও। বেশ কয়েকঘণ্টা পর ওই বাজি কারখানার ভিতর থেকে মোট পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়। প্রত্যেককে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন পুরুষ এবং দু’জন মহিলা। এই ঘটনার পরের দিনই কারখানার মালিক নুর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরে কুপিয়ে খুন! রাস্তায় মিলল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর রক্তাক্ত দেহ]
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই মুন্না সাউয়ের কথা জানতে পারে তদন্তকারীরা। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় মুন্নাকে। সূত্রের খবর, ধৃত মুন্না সাউকে আজই আদালতে পেশ করা হবে। প্রসঙ্গত, দেবকের এই কারখানা থেকে বাজেয়াপ্ত করা বাজি নিষ্ক্রিয় করার সময় ফের বিস্ফোরণ ঘটে। কেঁপে ওঠে নৈহাটি-চুঁচুড়া। নৈহাটির রামঘাট লাগোয়া বেশ কয়েকটি বাড়ি কেঁপে ওঠে বিস্ফোরণে। ভেঙে পড়ে কাচের জানলা, দরজা। এছাড়াও রামঘাটের ওপারে অবস্থিত চুঁচুড়ার বেশ কয়েকটি বাড়িও বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহত হন বেশ কয়েকজন। বাজি নিষ্ক্রিয় করার সময় ঘটনাস্থল থেকে ১০০ বা ১৫০ মিটার দূরেই ছিল পুলিশের গাড়ি। বোমা নিষ্ক্রিয়করণের পদ্ধতি নিয়ে ক্ষুব্ধ হন স্থানীয়রা। পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বচসা বেঁধে যায় দু’পক্ষের। তারপরই পরপর দু’টি পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
The post নৈহাটির বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে গ্রেপ্তার আরও ১, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য appeared first on Sangbad Pratidin.