সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোটি টাকার লটারি (Lottery) পেয়ে জীবনটা যদি বদলে যেত! স্বপ্ন দেখেন বহু মানুষ। তিনি যদি ঋণে জর্জরিত হন, এমনকী পৈতৃক বাড়ি বিক্রি করার মতো আর্থিক অবস্থা হয়, তবে তো এমন স্বপ্ন আরও বেশি করে চিমটি কাটে গরিবকে। যদিও বাস্তব সে পথে হাঁটে না। কিন্তু কেরলের (Kerala) এই ব্যক্তি প্রকৃতই ভাগ্যবান। দুই মেয়ের বিয়ে দিয়ে, ব্যবসার জন্য মোটা অঙ্কের ব্যাংক লোন নিয়ে দেনায় ডুবে ছিলেন। বাড়ি বিক্রির ত্রেতাও ঠিক করে ফেলেন। অগ্রীম নেওয়ার ঘণ্টা দুই আগে খবর এল ১ কোটি টাকার লটারি জিতেছেন!
উত্তর কেরলের মঞ্জেশ্বরের বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের মহম্মদ বাভা। পাঁচ সন্তানের পিতা। বেশ কিছুদিন ধরেই অন্ধকার জীবনের সঙ্গে লড়ছিলেন। দুই মেয়ের বিয়ে দিতে বিপুল পরিমাণ দেনা করেছিলেন। আত্মীয়স্বজনদের থেকেও ধার নেন। পরে ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের লোন নিয়ে ব্যবসায় ঢালেন। সব মিলিয়ে টাকার দেনার পরিমাণ ৫০ লক্ষ প্রায়। ব্যবসায়ীর দাবি, লোন শোধ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিডের পর থেকে তাঁর রিয়েল এসটেটের ব্যবসায় মন্দা শুরু হয়। বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েন। উদ্বেগ বাড়তে থাকে। সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেন, বাড়ি বিক্রি করে দেনা মেটাবেন।
[আরও পড়ুন: ফের দেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত ২০ হাজারের বেশি, উদ্বেগ মৃতের সংখ্যাতেও]
জানা গিয়েছে, প্রৌঢ়কে বাড়ির জন্য অগ্রীম দিতে রবিবার বিকেলে আসার কথা ছিল ক্রেতার। আর এদিন সকালেই শেষবার ভাগ্য পরীক্ষায় কেরল সরকারের ফিফটি-ফিফটি লটারির টিকিট কেনেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় আসার কথা ছিল ক্রেতার। সাড়ে তিনটে নাগাদ লটারির ফল বের হয়। দেখা যায়, প্রথম পুরস্কার ১ কোটি টাকা জিতেছেন মহম্মদ বাভা। মুহূর্তে বদলে যায় পৃথিবী!
[আরও পড়ুন: এবার স্কুলের পথেই ধর্ষিতা ১২ বছরের নাবালিকা, পালানোর চেষ্টা করায় অভিযুক্তকে গুলি পুলিশের]
এই ঘটনাকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রৌঢ় বলেন, “ঈশ্বর পথ দেখিয়েছেন! গতকাল ক্রেতা জানায় আজ অগ্রীম দিতে আসবেন।” বলেন, “লটারি বিক্রেতা আমার বাড়ির সামনে দিয়ে যাতায়াত করেন। মাঝেমাঝে দু-একটা টিকিট নিই বটে। তবে এদিন টিকিট কিনেছিলাম প্রচণ্ড উদ্বেগের মধ্যে।” হিসেব বলছে, এক কোটি টাকা থেকে কর বাদ দিয়ে ৬৩ লক্ষ টাকা হাতে পাবেন প্রৌঢ়। অর্থাৎ যাবতীয় দেনা মিটিয়ে মহম্মদ বাভার হাতে থাকবে ১৩ লক্ষ টাকা। তবে তিনি বলেছেন, “দেনা মেটানোর পর হাতে যা থাকবে, গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দেবো।”