shono
Advertisement

Breaking News

রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া রিজেন্ট পার্কে, মায়ের পচাগলা দেহের পাশেই ঘুমোলেন প্রৌঢ়!

পুলিশের দাবি, গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরও নির্লিপ্ত মৃতার ছেলে।
Posted: 05:39 PM Oct 15, 2020Updated: 05:39 PM Oct 15, 2020

অর্ণব আইচ: এবার রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া রিজেন্ট পার্কে (Regent Park)। বৃদ্ধা মায়ের দেহের পাশেই রাত কাটালেন ছেলে। দুর্গন্ধ বেরনোয় প্রতিবেশীরা থানায় খবর দিলে বৃহস্পতিবার সকালে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, বয়সজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধার।

Advertisement

জানা গিয়েছে, রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার বিদ্যাসাগর পার্কের বাসিন্দা বছর ৭৮-এর ওই বৃদ্ধা। নাম ঝর্ণা গাতাইত। বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি। মাঝে মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ ছেলে আসতেন তাঁর কাছে দেখা করতে। প্রতিবেশী সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরেই বৃদ্ধার দেখা পাননি তাঁরা। প্রথমে তাঁরা বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নিলেও মনে সন্দেহ দানা বাঁধে বৃদ্ধার বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পেতেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে দুর্গন্ধের তীব্রতা। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে রিজেন্ট পার্ক থানায় বিষয়টি জানান ঝর্ণাদেবীর প্রতিবেশী বেলা দে। খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তাঁরাই ঘর থেকে উদ্ধার করে পচাগলা অবস্থায় উদ্ধার হয় ঝর্ণাদেবীর দেহ। ঘরেই ছিলেন বৃদ্ধার ছেলে। তড়িঘড়ি দেহটি পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।

[আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে ব্যবহৃত জলকামানের জলে মেশানো ছিল করোনা! আজব দাবি সৌমিত্র খাঁর]

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে বৃদ্ধার বাড়িতেই ছিলেন তাঁর ছেলে। মায়ের দেহের সঙ্গে রাত কাটালেও কেন কাউকে জানালেন না তিনি? এ প্রশ্ন করতেই নির্লিপ্ত কন্ঠে ওই প্রৌঢ় বলেন, “কাল এলাম। দরজা খোলাই ছিল। মা মারা গিয়েছে। আমি আমার মতো ছিলাম।” জানা গিয়েছে, মায়ের ঘরেই ঘুমোন ওই প্রৌঢ়। ওই ব্যক্তির কথা শুনে ও আচরণে তদন্তকারীদের অনুমান, সম্ভবত সামান্য মানসিক সমস্যা রয়েছে তাঁর। কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল ঝর্ণাদেবীর? সত্যিই কী মানসিক সমস্যা রয়েছে মৃতার ছেলের? কোথায় থাকেন তিনি? এহেন একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই বৃদ্ধার মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

[আরও পড়ুন: সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের পর করোনা কালে দর্শকদের জন্য দরজা বন্ধ করল এই পুজো]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement