সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লুক আউট নোটিস জারি হতেই বেপাত্তা মোদি ঘনিষ্ঠ গায়ক-অভিনেতা দীপ সিধু (Deep Sidhu)। তাঁর বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলনকে ভুল পথে চালনা করার অভিযোগ উঠেছে। এবার ফে্সবুক লাইভ করে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করলেন সিধু। তাঁর কথায়, “কৃষকদের লালকেল্লা দখল সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত। এটা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।”
কৃষকনেতারা অভিযোগ করেন, কৃষকদের ট্র্যাক্টর ব়্যালিকে ভুল পথে চালিত করেছেন দীপ সিধু। তাঁর উসকানিতেই লালকেল্লায় তাণ্ডব চালিয়েছেন কৃষকদের একাংশ। বিক্ষোভকারীদের আরও অভিযোগ, আন্দোলনের গায়ে কালি ছেটাতেই সুপরিকল্পিতভাবে এমন কীর্তি করেছেন দীপ। তাই তাঁকে ‘গদ্দার’ বলেও কটাক্ষ করছেন কেউ কেউ।
[আরও পড়ুন : ফাঁসি হোক লালকেল্লার ঘটনায় জড়িত কৃষক নেতাদের, অমিত শাহকে চিঠি বিজেপি বিধায়কের]
এই কটাক্ষের বিরোধিতা করে দীপ সিধু বলেন,”আমি গদ্দার নই। আন্দোলনকারীদের লালকেল্লায় যাওয়ার জন্য আমি উসকানি দিইনি। এটা পাঞ্জাব থেকে আসা বিক্ষোভকারীদের যৌথ সিদ্ধান্ত ছিল।” জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ উড়িয়ে অভিনেতা জানান, “ভারতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুয়ো। ওখানে ভারতীয় পতাকার নিচে নিশান সাহিব উড়িয়েছিলেন কৃষকরা। এতে জাতীয় পতাকার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়নি।”
কৃষকদের লালকেল্লা দখল নিয়ে দীপ সিধুর সাফাই, “বারবার সাধারণ মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হলে, দিনের পর দিন প্রশাসন তাঁদের দাবিকে পাত্তা না দিয়ে ফেলে রাখলে এমন রাগ তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। যার পরিণতি এই আন্দোলন।” তাঁর কথায়, “আন্দোলনকারীরা লালকেল্লা পৌঁছে যাওয়ার অর্থ সরকারকে বার্তা দেওয়া- আমরা যদি লালকেল্লায় পৌঁছে যেতে পারি, তাহলে আন্দোলনে যা খুশি করতে পারি।”
[আরও পড়ুন : ‘কোনও মেয়ে ওঁকে বিয়ে করতে চায় না, বাচ্চারা হাসে’, রাহুলকে কটাক্ষ প্রজ্ঞার]
উল্লেখ্য, সাধারণতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় কৃষকদের তাণ্ডবের নেপথ্যে এবার এক ‘বিজেপিপন্থী’ অভিনেতার হাত দেখছেন বিক্ষোভকারী কৃষকরা। তাঁদের দাবি, পাঞ্জাবি গায়ক ও অভিনেতা দীপ সিধুর উসকানিতেই দিল্লিতে যাবতীয় অশান্তি ঘটেছে। এর নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র কাজ করছে বলেও দাবি করছেন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন নামের এক কৃষক সংঠনের নেতা। দিল্লি পুলিশও তার ভূমিকা খতিয়ে দেখছে। জারি হয়েছে লুক আউট নোটিশ। তবে বেপাত্তা ওই অভিনেতা।