সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মন্দিরের (Temple) সম্পত্তির উপর মালিকানা কার? দেবতার, নাকি পুরোহিতের? মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়ে দিল, মন্দির থাকবে দেবতারই। কোনও পুরোহিত সেই সম্পত্তির দেখভাল করতেই পারেন। কিন্তু তা নিজের বলে দাবি করতে পারেন না। মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের (Madhya Pradesh High Court) আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের আবেদনের শুনানিতে মঙ্গলবার এই রায় দিয়েছে।
ভূমিশ্বরের অধিকার নিয়ে পুরোহিতেরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এদিনের সুপ্রিম রায়ের পর পুরোহিতরা আর মন্দিরের সম্পত্তি বেআইনিভাবে বিক্রি করতে পারবেন না। বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি এএস বোপান্নার বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে যে, মন্দিরের সম্পত্তি পরিচালনার উদ্দেশ্যে পুরোহিত কেবল জমি সংক্রান্ত কাজ করতে পারেন। ‘মালিক’ কে, এই প্রশ্ন উঠলে বলা প্রয়োজন, সেটা দেবতা নিজে। তবে মন্দির তদারকির কাজ পুরোহিতের হাতেই থাকবে।
[আরও পড়ুন: প্রয়োজনে সময়ের আগেই নেওয়া যাবে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ! নির্দেশ কেরল হাই কোর্টের]
এই প্রসঙ্গে এদিন শীর্ষ আদালত ব্যক্তিগত মন্দির এবং জনসাধারণের মন্দিরের ধারণাও স্পষ্ট করেছে। যাতে ভবিষ্যতে এই সংক্রান্ত কোনও জটিলতা তৈরি না হয়। বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, বাড়িতে যে ঠাকুরঘর বা মন্দির আছে, সেটা বাড়ির মালিকের। কিন্তু জনসাধারণের জন্য যে দেবতার মন্দির থাকে তার মালিক স্বয়ং ঈশ্বর। পুরোহিতেরা দেখভালের কাজে।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের একটি রায়কে চ্যালেঞ্জ করে জমা পড়া একটি পিটিশনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিল। আদালত মধ্যপ্রদেশের আইন রাজস্ব কোড ১৯৫৯-এর অধীনে রাজ্য সরকারের জারি করা দুটি বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে দিয়েছিল। ওই দুই বিজ্ঞপ্তিতে রাজস্ব রেকর্ড থেকে পুরোহিতের নাম মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পুরোহিত যাতে মন্দিরের সম্পত্তি বেআইনিভাবে বিক্রি করতে না পারে, সেই জন্য়ই ওই রায় দেওয়া হয়েছিল।