সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার নয়াদিল্লিতে শুরু হয়েছে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সম্মেলন। আর সেই সম্মেলনে যোগ দিয়ে ভারতে হাজির চিন (China) ও পাকিস্তানের (Pakistan) প্রতিনিধি দল। তাদের পাশাপাশি সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিরাও বৈঠকে উপস্থিত বলে জানা গিয়েছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে।
বরাবরই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বিরোধিতা করার সময় ইসলামাবাদকেই কাঠগড়ায় তুলেছে ভারত। এদিকে পাকিস্তানের ‘বিশেষ বন্ধু’ চিনও আন্তর্জাতিক আঙিনায় পাশে থেকেছে তাদেরই। সেই দুই দেশের প্রতিনিধিরাও এবার নয়াদিল্লিতে উপস্থিত হলেন সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সম্মেলনে অংশ নিতে। উল্লেখ্য, শুক্রবার শেষ হবে এই বৈঠক। ভারত, চিন, পাকিস্তান ছাড়াও এই সংগঠনের সদস্য রাশিয়া, কাজাখস্তান, তাজাকিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজ।
[আরও পড়ুন: ‘আমরা ভাবতেও পারতাম না’, রাজ্যজুড়ে উচ্চমাধ্যমিকে অকৃতকার্যদের বিক্ষোভে হতবাক মুখ্যমন্ত্রী]
ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ওই বৈঠকে? সূত্রের দাবি, আফগান পরিস্থিতির পাশাপাশি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে বৈঠকে। গত বছরের অক্টোবরে SCO-RATS-এর সভাপতিত্বের সুযোগ পায় ভারত। ১ বছরের জন্য এই দায়িত্ব পেয়েছে নয়াদিল্লি। তাই এবারের বৈঠকের আয়োজনও হয়েছে এদেশেই। উল্লেখ্য, বরাবরই সন্ত্রাস দমন ও সীমান্তে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে মরিয়া ভারত। সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের নেতৃত্ব পাওয়ার পর গত মাসে সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও বৈঠক করেছিল ভারত। তার আগে গত বছরের ডিসেম্বরেও একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিল নয়াদিল্লি।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েই শাহবাজ শরিফ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন। দু’ দেশের দারিদ্র নিয়েও তিনি কথা বলেছিলেন তিনি। তারপরই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পালটা বলেন, পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ করার দিকে আগে নজর দিন পাক প্রধানমন্ত্রী। সন্ত্রাস দমনের কাজ যেন ব্যাহত না হয়, সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে পাকিস্তানকে।এবার সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সম্মেলনে যোগ দিতে দেখা গেল ইসলামাবাদকে।