সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ষবরণের রাতে দিল্লিতে (New Delhi) কুড়ি বছরের তরুণীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় স্তম্ভিত দেশ। অঞ্জলি সিং নামের ওই তরুণীকে সেদিন প্রায় ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে যায় একটি গাড়ি। এই মৃত্যুতে তোলপাড় দেশ। এদিকে বাড়ির একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যুতে কার্যতই ধসের মুখে তাঁর পরিবার। অসুস্থ মা ও পাঁচ ভাইবোনের সামনের পথ আপাতত কেবলই অন্ধকার।
অঞ্জলির জীবনের স্বপ্ন ছিল বিউটিশিয়ান হওয়া এবং নিজের পার্লার খোলা। কিন্তু জীবন তাঁকে ঠেলে দিয়েছিল অন্যদিকে। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় চাকরি করেই পরিবারের রুটিরুজি জোগাড় করতে হত তাঁকে। আর এই রোজগারও নিয়মিত ছিল না। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, কখনও ৫০০, কখনও ২ হাজার টাকা মায়ের হাতে তুলে দিতেন তিনি। পুলিশ সূত্রের দাবি, ঘটনার দিনও একটি হোটেলের পার্টিতে কর্মরত ছিলেন অঞ্জলি। তফাত, সেদিন আর বাড়ি ফেরা হয়নি তাঁর।
[আরও পড়ুন: নিয়মের বেড়াজালে রোনাল্ডো, আল নাসেরের হয়ে অভিষেক ম্যাচে নামা হচ্ছে না মহাতারকার]
উল্লেখ্য, রবিবার ভোরের দিকে সুলতানপুরীতে ঘটে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। স্কুটিতে করে যাচ্ছিলেন অঞ্জলি সিং নামের ২০ বছরের ওই তরুণী। সেই সময়ই স্কুটিটিতে সজোরে ধাক্কা মারে এক বেপরোয়া গাড়ি। গাড়ির নিচে আটকে যায় তরুণীর পা। সেই অবস্থাতেই তাঁকে টেনে হিঁচড়ে প্রায় চার কিলোমিটার গিয়ে যায় গাড়িটি। সুলতানপুরি থেকে কাঞ্ঝাওয়ালা পর্যন্ত ছ্যাঁচড়াতে ছ্যাঁচড়াতেই পৌঁছে যান তরুণী। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মেয়ের সুবিচার চেয়ে সুলতানপুরী থানার সামনে বিক্ষোভে শামিল হতে দেখা গিয়েছে মৃতার পরিবারকে। স্থানীয়রাও দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখালে বিপুল যানজটের সৃষ্টি হয় রাজধানীতে। পুলিশ অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার দিল্লির এক আদালতে পেশ করা হলে তাদের তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি।