সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অক্সিজেন (Oxygen) থেকে রেমডিসিভিরের চাহিদা বাড়ছে। দিল্লির (Delhi) হাসপাতালে হাসপাতালে যেখানে অক্সিজেনের হাহাকার চলছে, সেখানে কিছু দুষ্কৃতী সুযোগ বুঝে কালোবাজারিতে নেমে পড়েছে। দিল্লিতে এমন ৩ দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছে থেকে নগদ লক্ষাধিক টাকা এবং সেই সঙ্গে রেমডিসিভির, অক্সিজেন এবং আরও বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে যা করোনা চিকিৎসায় লাগে। ছত্তিশগড়েও এমন ৪ দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: করোনা রুখতে এবার বিড়ি-সিগারেট বিক্রিতেও নিষেধাজ্ঞা! ইঙ্গিত বম্বে হাই কোর্টের]
দিল্লিতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযান চালিয়ে একটি গাড়ি-সহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। সেই সঙ্গে, রেমডিসিভির ইঞ্জেকশনের বেশ কয়েকটি ভায়াল পাওয়া যায়। সেগুলি ৪০ হাজার টাকা করে বিক্রি করছিল তারা। তাদের কাছ থেকে এমন ৩টি ভায়াল উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে ১০০ অক্সিমিটার এবং ৪৮টি ছোট আকারের অক্সিজেন সিলিন্ডার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃত অলোক ত্যাগি, অভিষেক গাজিয়াবাদের এবং সোমেল গুপ্তা নয়ডার বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ছত্তিশগড়ের রায়পুর থেকেও পুলিশ এমন ৪ দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করছে। তারাও করোনা চিকিৎসার সরঞ্জামের কালোবাজারির সঙ্গে যুক্ত ছিল। রায়পুর পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে রেমডিসিভিরের ৭টি ইঞ্জেকশন উদ্ধার করা হয়েছে। এই কালোবাজারি চক্রটি রেমডিসিভিরের এক একটি ইঞ্জেকশন ২৫ হাজারে বিক্রি করছিল।
এখন দু’ জায়গায় পুলিশ তদন্ত করে দেখছে এই সব ওষুধ কোথা থেকে পাচ্ছে কালোবাজারির কারবারিরা। আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে এর সঙ্গে। আরও কিছু জায়গা থেকে এর আগে এমন কালোবাজারির খবর সামনে এসেছে। ওই সব জীবনদায়ী উপাদানের চাহিদা যত বাড়ছে সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কালোবাজারিও। প্রশাসনও করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পাশাপাশি কালোবাজারির কোনও অভিযোগ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে।