সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) পুনরাবৃত্তি এবার কি দিল্লিতেও (Delhi) হতে চলেছে? অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) দল বুধবারই দাবি করেছিল, বিজেপি দিল্লিতেও ‘অপারেশন লোটাস’ অভিযান চালাচ্ছে। আপে’র বিধায়ক ‘ভাঙাতে’ ফোনে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ২০-২৫ কোটি টাকার প্রলোভন পর্যন্ত দেখানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার আপৎকালীন বৈঠকে বসলেন কেজরিওয়াল।
পরে টুইটারে পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘দিল্লি সরকারকে ফেলতে ওরা ৮০০ কোটি রেখে দিয়েছে। বিধায়ক পিছু ২০ কোটি দিয়ে ৪০ জন বিধায়ককে ছিনিয়ে নিতে চায়। দেশ জানতে চায় এই ৮০০ কোটি টাকা কার, এটা কোথায় রাখা হয়েছে? আমাদের কোনও বিধায়কই দল ছাড়বেন না। সরকার স্থিতিশীল। দিল্লিতে যে ভাল কাজ চলছে তা অব্যাহত থাকবে।’
[আরও পড়ুন: খর্ব হতে পারে ইডির ক্ষমতা? আর্থিক প্রতারণার রায় পুনর্বিবেচনায় রাজি সুপ্রিম কোর্ট]
এদিনের বৈঠকে আপে’র ৬২ জন বিধায়কের মধ্যে ৫৩ জন কেজরিওয়ালের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তবে যাঁরা আসতে পারেননি তাঁরাও ফোনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেই দাবি তাঁদের। আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, স্পিকার ফোনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁদের সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ১২ জন আপ বিধায়ক স্বীকার করেছেন বিজেপি তাঁদের অফার দিয়েছে। তবে তাঁরা সকলেই জানিয়ে দিয়েছেন শেষ নিশ্বাস ফেলা পর্যন্ত তাঁরা কেজরিওয়ালের পাশেই থাকবেন।
বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, ”আমি শুনেছি সব মিলিয়ে ৪০ জন বিধায়ককে ওরা ঘুষ দিতে চাইছে। আমি খুশি যে শেষ পর্যন্ত একজন বিধায়কও ওদের সঙ্গে থাকবেন না।” বৈঠকশেষে দল বেঁধে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়ালে গিয়ে প্রার্থনা করেন কেজরিওয়াল ও তাঁর সঙ্গী বিধায়করা।
বিজেপি যে এরকম মতলব কষছে এই অভিযোগ প্রথম তোলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। তাঁর বাড়িতে সিবিআই হানার দু’দিন পরেই এই দাবি করতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি বলেন, বিজেপি তাঁর কাছে এই প্রস্তাব দিয়েছেন, “বিজেপিতে আসুন। সিবিআই-ইডির (ED) সমস্ত মামলা বন্ধ করে দেওয়া হবে।” যদিও বিজেপি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ আপ এখন সেদিক থেকে নজর ঘোরাতেই এমন অভিযোগ করছে।