সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে জেলমুক্তির সম্ভাবনা। বুধবার দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টের নির্দেশে আবগারি মামলায় ৩ দিনের সিবিআই (CBI) হেফাজতে হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal)। অবস্থা বুঝে আদালতের কাছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছু দাবি জানান। বন্দি অবস্থায় নিজের চশমা, ওষুধ, বেল্ট, বাড়ির খাবার এবং ভগবৎ গীতা চান কেজরি। পাশাপাশি দিনে একবার এক ঘণ্টার জন্য পরিবারের সদস্যের সঙ্গে দেখা করার দাবিও জানান। সূত্রের খবর, সবকটি দাবি মেনেছে আদালত।
আপ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুরুতে চশমা, ওষুধ, বাড়ির খাবার এবং ভগবৎ গীতার কথা উল্লেখ করলেও বেল্টের কথা ভুলে গিয়েছিলেন কেজরি। পরে জরুরি সামগ্রীর তালিকায় বেল্ট অন্তর্ভুক্ত করেন। কেজরিওয়ালের বক্তব্য, তিহাড় জেলে বেল্ট না দেওয়ায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েন। হাত দিয়ে প্যান্ট ধরে রাখতে হচ্ছিল তাঁকে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর রাউস অ্যাভেনিউ কোর্ট বেল্টেরও অনুমতি দেয়।
[আরও পড়ুন: মমতার সঙ্গে সাক্ষাতের পর দিল্লিতে শাহী দরবারে অনন্ত মহারাজ, তুঙ্গে জল্পনা]
সোমবার তিহাড় জেলে গিয়ে কেজরিকে (Arvind Kejriwal) জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেপ্তার হিসাবে দেখানো হয়। তার পর পাঁচ দিনের হেফাজত চেয়ে বুধবার সিবিআই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে আদালতে পেশ করে। রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টে শুনানির পর বিচারক জানান, আপাতত তিন দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে থাকতে হবে আপ সুপ্রিমোকে। এদিন শুনানির সময়ে অবশ্য কেজরি অভিযোগ করেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ ছড়াচ্ছে সিবিআই (CBI)। তিনি নাকি দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার উপরে দোষ চাপিয়েছেন। এই অভিযোগ অস্বীকার করেন কেজরি।
[আরও পড়ুন: কাজে না যাওয়া নিয়ে বাবার বকুনি, অভিমানে ২২ তলা থেকে ঝাঁপ উনিশের তরুণের]
ইডির করা মামলায় কেজরিওয়ালের জামিন নিয়ে বিভিন্ন আদালতে টানাপোড়েন চলছে। নিম্ন আদালত জামিন দিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু মুক্তি আটকাতে তৎপর ইডি পরের দিনই দ্বারস্থ হয়েছিল দিল্লি হাই কোর্টের। শেষ পর্যন্ত কেজরির জামিনে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। জামিন পেতে মরিয়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, দিল্লি হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ নিয়ে এখনই কোনও নির্দেশ দেওয়া হবে না। সব মিলিয়ে অস্বস্তি বাড়ছে আপ সুপ্রিমোর।