সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইডি হেফাজত শেষ হওয়ার পর আবগারি দুর্নীতি মামলায় ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal)। বর্তমানে তাঁর ঠিকানা তিহাড়ের ২ নম্বর সেল। সোমবার বিকেল ৪ টে নাগাদ তিহাড়ের কালকুঠুরিতে নিয়ে যাওয়া হয় কেজরিওয়ালকে। আঁটসাঁট নিরাপত্তার ঘেরাটোপে সেখানেই প্রথম রাত কাটল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর (Delhi CM)।
সোমবার বিকেলে জেলে নিয়ে যাওয়ার পর প্রথমেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয় কেজরিওয়ালের। এর পর আর ৫টা কয়েদির মতো নাম ঠিকানা লিখে সেলে প্রবেশ করানো হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সেলে তাঁর উপর সর্বক্ষণের নজরদারির জন্য লাগানো হয়েছে ৬ টি সিসিটিভি ক্যামেরা। আদালতের নির্দেশ মেনে দ্বিস্তরীয় নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে কেজরিওয়ালের জন্য। পাশাপাশি তাঁর সেলে একটি টিভির পাশাপাশি লাইব্রেরি থেকে বই আনিয়ে পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, কয়েদিদের ১০ জনের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হলেও কেজরি এখনও পর্যন্ত মোট ৬ টি নাম জমা করেছেন। তার মধ্যে পরিবারের ৩ সদস্যের পাশাপাশি রয়েছেন সন্দীপ পাঠক, বন্ধু বৈভব ও আরও এক ব্যক্তি। যার নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
[আরও পড়ুন: কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে ইডির তৎপরতায় কংগ্রেসের ‘হাত’! বিস্ফোরক বিজয়ন]
এদিকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের খাবারের মেনুও নিয়মে বাঁধা। জেলে সকাল ৬ টায় ঘুম থেকে উঠতে হবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। সকাল সাড়ে ৬টার সময় প্রাতরাশে তাঁকে দেওয়া হবে ডালিয়া এবং এক কাপ চা। সাড়ে ১০টার সময় সবজি, ডাল, ভাত এবং পাঁচটি রুটি। দুপুর ৩টেয় চা ও ২টি বিস্কুট। সন্ধ্যা ৭টার সময় রাতের খাবারে দেওয়া হবে ডাল, সবজি, ভাত এবং রুটি।
[আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ না দিলেই গ্রেপ্তার! কেজরির পর আশঙ্কায় অতিশী, রাঘব চাড্ডারা]
বর্তমানে যে ২ নম্বর সেল কেজরির ঠিকানা সেখানে কিছুদিন আগে পর্যন্ত ছিলেন আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং। বর্তমানে তাঁকে সরানো হয়েছে ৫ নম্বর সেলে। এই তিহাড়েই বন্দি কেজরির আরও দুই সঙ্গী সত্যেন্দ্র জৈন রয়েছেন ৭ নম্বর সেলে এবং মণীশ সিসোদিয়া ১ নম্বরে। পাশাপাশি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ৬ নম্বর সেলে রয়েছেন ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেত্রী তথা তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা কে কবিতা। অবশ্য তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাতের কোনও সুযোগ নেই কেজরির।