সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রযুক্তির দুনিয়ায় অনলাইনে আর্থিক লেনদেনের উপরেই নির্ভরশীল বেশিরভাগ মানুষ। করোনার জেরে অনলাইন লেনদেনের উপর নির্ভরতা বেড়েছে অনেকটাই। তবে নিরাপদ নন কেউই। সামান্য অসাবধানতায় খোয়া যেতে পারে আপনার সঞ্চয়। ঠিক যেমন ঘটেছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) মেয়ে হর্ষিতার সঙ্গে। অনলাইনে আর্থিক প্রতারণার শিকার হলেন তিনি।
ঠিক কী ঘটেছিল? দিনকয়েক ধরে হর্ষিতা একটি সোফা সেট বিক্রির কথা ভাবছিলেন। তিনি স্থির করেন একটি অনলাইন সংস্থার মাধ্যমে বিক্রি করবেন। সেই মতো ছবি আপলোড করেন। তার মাধ্যমে এক ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। সোফা সেট পছন্দ হয়ে যায়। কিন্তু বিক্রির পর টাকা নিতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি।
[আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্যের পর ফের বৈঠকে রাজি কৃষকরা]
অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য হর্ষিতা ওই ক্রেতার কাছে পাঠান। সেই অনুযায়ী সামান্য কিছু টাকা ক্রেতা কেজরিওয়াল কন্যার অ্যাকাউন্টে পাঠায়। সঙ্গে একটি কিউ আর কোডও পাঠায় সে। বাকি টাকা পাঠানোর জন্য ওই কিউ আর কোডটি হর্ষিতাকে স্ক্যান করতে বলা হয়। বেশি ভাবনাচিন্তা না করে হর্ষিতা কিউ আর কোডটি স্ক্যান করেন। অভিযোগ, প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়।
কেন এমন হল, ওই ক্রেতা প্রশ্ন করেন হর্ষিতা। ক্রেতা উত্তর দেয় ভুল কিউ আর কোড পাঠানোর ফলে এই গণ্ডগোল হয়েছে। ২০ হাজার টাকা এবং নতুন কিউ আর কোড পাঠানোর কথা বলে। টাকা পাঠানোর আগেই কিউ আর কোড পাঠায় সে। হর্ষিতা ফের কিউ আর কোড স্ক্যান করেন। দ্বিতীয়বার ১৪ হাজার টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায়। এরপর হর্ষিতা বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ৩৪ হাজার টাকা খোয়া যাওয়ার পর ক্রেতার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি হর্ষিতা। এই ঘটনায় সিভিল লাইন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। এখনও অধরা অভিযুক্ত।