সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেপ্টেম্বর মাসে চেস অলিম্পিয়াডে সোনা জিতেছিল ভারতের পুরুষ এবং মহিলা দল। মহিলাদের দলে ছিলেন তানিয়া সচদেব। কিন্তু ঐতিহাসিক সাফল্যের পরও দিল্লি সরকারের থেকে প্রাপ্য স্বীকৃতি পাননি। সোশাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন ভারতীয় দাবাড়ু। তার জবাব দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশী। কিন্তু সেটার উত্তরে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি সমর্থকরাও।
হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে বসেছিল চেস অলিম্পিয়াডের আসর। সেখান থেকে প্রথমবার জোড়া সোনা আসে ভারতীয় দাবাড়ুদের হাত ধরে। মহিলাদের দলে ছিলেন রমেশবাবু বৈশালী, হরিকা দ্রোনাওয়ালি, দিব্যা দেশমুখ, তানিয়া সচদেব। অথচ বিশ্বমঞ্চে ভারতের নাম উজ্জ্বল করা সত্ত্বেও দিল্লির আম আদমি পার্টি সরকারের থেকে কোনওরকম সম্মান পাননি। তানিয়া সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, '২০০৮ থেকে ভারতের হয়ে খেলছি। কিন্তু দাবায় সাফল্য সত্ত্বেও দিল্লি সরকারের থেকে কোনও স্বীকৃতি পাইনি। অন্যান্য রাজ্য দাবাড়ুদের সাহায্য করে। চ্যাম্পিয়ন হলে সম্বর্ধনা দেয়। তাঁদের প্রতিভা বিকাশের জন্য উৎসাহ দেয়। কিন্তু দিল্লি এই ধরনের কোনও পদক্ষেপই নেয়নি।'
এখানে থামেননি তিনি। ৩৮ বছর অর্জুন পুরস্কারে সম্মানিত দাবাড়ু আরও লিখছেন, '২০২২-এ দাবা অলিম্পিয়াডে ভারত ব্রোঞ্জ জিতেছিল। আমিও ব্যক্তিগত পর্যায়ে পদক জিতেছিলাম। ২০২৪-এ দাবা অলিম্পিকে ঐতিহাসিক সোনা জিতেছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত দিল্লি সরকার কোনও স্বীকৃতি দেয়নি।' সেই সঙ্গে আম আদমি পার্টি, অতিশী ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ট্যাগ করে আশা করেছেন, যেন তারা দাবাড়ুদের প্রাপ্যসম্মান দেন।
তানিয়ার পোস্টের উত্তরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশী লিখেছেন, 'আমরা সবসময়ই অ্যাথলিটদের সাহায্য করি। আমাদের স্কুলগুলোতেও সেটা করা হয়। তোমার সঙ্গে দেখা করতে ভালো লাগবে। দাবাড়ুদের জন্য আর কী করা যায়, সেটাও বোঝার চেষ্টা করব। আমার অফিস থেকে তোমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। তোমার পরামর্শ শোনার জন্য অপেক্ষা করছি।'
কিন্তু অতিশীর উত্তরে সন্তুষ্ট নয় বিজেপি সমর্থকরা। সোশাল মিডিয়ায় অনেকে লিখছেন, '১০ বছর লেগে গেল সমস্যাটা বুঝতে? সমস্যার সমাধান করতে আপ সরকারের আর কতদিন লাগবে? দিল্লি এবার কেজরিওয়ালকে ছেড়ে সামনের দিকে তাকানো উচিত।' উল্লেখ্য, আগামী বছরেই দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আতিশীর এই চেষ্টাকে অনেকে 'ড্যামেজ কন্ট্রোল' বলেও মনে করছেন।