সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূজা খেদকারের UPSC প্রার্থীপদ বাতিল হয়েছিল বুধবার। বৃহস্পতিবার তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লির আদালত। উল্লেখ্য, ভুয়ো নথি ব্যবহার করে আইএএস হয়েছেন পূজা খেদকার, এমনই অভিযোগ উঠেছিল। পাশাপাশি আদালত জানিয়ে দিল, পূজাকে ইউপিএসসির ভিতরের কেউ কোনওরকম সাহায্য করেছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হোক।
প্রসঙ্গত, আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন বিতর্কিত ট্রেনি আইএএস। তাঁর আইনজীবীর দাবি ছিল, পূজাকে আগেই সতর্ক করা হয়েছে গ্রেপ্তারির বিষয়ে। তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতি, আইটি আইন ভঙ্গ ও প্রতিবন্ধী আইনের মতো নানা অভিযোগ এনেছে দিল্লি পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার পূজার আইনজীবী বলেন, মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে ওই তরুণীকে। যদিও বিরোধী পক্ষের আইনজীবীর পালটা দাবি, সিস্টেমের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন পূজা। এই ধরনের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া তদন্ত হওয়া দরকার। এর পরই আদালত খারিজ করে দেয় পূজার জামিনের হেফাজত।
[আরও পড়ুন: টিকিট চেকার থেকে অলিম্পিকে পদক, ধোনির পদাঙ্ক অনুসরণ করেই সাফল্য স্বপ্নিলের]
ঠিক কী কী অভিযোগ উঠেছিল ট্রেনি আইএএসের বিরুদ্ধে? নির্ধারিত সীমার বেশিবার পরীক্ষা দিতে নাম, পরিচয় ও বয়স বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল পূজার বিরুদ্ধে। এই মর্মেই পূজাকে ইউপিএসসি-র তরফে নোটিস পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন তাঁর প্রার্থীপদ বাতিল করা হবে না। তখনই জানা গিয়েছিল, পূজার বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপের পথে ইউপিএসসি।
এহেন পরিস্থিতিতে পূজার বিরুদ্ধে বিস্তারিত তদন্ত করেছে ইউপিএসসি। তার পরেই কর্তৃপক্ষের তরফে বিবৃতি বলা হয়, সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে যে CSE-2022-র নিয়ম ভেঙেছেন পূজা। সেই কারণেই ওই বছরে তাঁর প্রার্থীপদ বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনে ইউপিএসসির কোনও পরীক্ষায়ও বসতে দেওয়া হবে না পূজাকে। গ্রেপ্তারির সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। এবার আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ায় পূজার (Puja Khedkar) অস্বস্তি আরও বাড়ল নিশ্চিত ভাবেই।