সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাহাঙ্গিরপুরি হিংসায় (Jahangirpuri Violence) এক অভিযুক্তকে জামিন দিল দিল্লির আদালত। হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রার সময়ে হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগে আটক করা হয়েছিল ওই অভিযুক্তকে। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে ওই অভিযুক্তকে দেখা যায়নি। তাছাড়াও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই বয়সের কথা বিবেচনা করে আপাতত অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। তবে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) জামিনের বিরোধিতা করেছে।
আদালতের তরফে বলা হয়েছে, “অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার আদালতে পেশ করে শুনানি শুরু করতে হবে। গোটা ব্যাপারটি বেশ সময় সাপেক্ষ। তাছাড়া অভিযুক্ত সুজলের বয়স মাত্র ১৮ বছর। সেই কারণে ব্যক্তিগত বন্ডে তাকে জামিন দেওয়া হল।” আদালত আরও বলেছে, সিসিটিভি ফুটেজে সুজলের ছবি পাওয়া যায়নি। অভিযুক্তের আইনজীবীও আবেদন করে বলেছেন, কেবলমাত্র অনুমানের উপর ভিত্তি করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সুজলকে।
[আরও পড়ুন: সেনার বৈঠকে গলল বরফ, গোগরা হটস্প্রিং থেকে সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত ভারত ও চিনের]
জামিনের আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেছে দিল্লি পুলিশ। জামিনের আরজির বিরোধিতা করে পাবলিক প্রসিকিউটর পিকে রঙ্গা জানিয়েছেন, বেআইনি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল সুজল। ঘটনার সময়ে তাকে পিস্তল হাতে দেখেছিলেন এক পুলিশকর্মী। অভিযুক্ত সুজলের কাছ থেকেই পরবর্তীকালে বেআইনি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে রঙ্গা আরও জানিয়েছেন, “এখনও পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। এই সময়ে একজন অভিযুক্তকে ছেড়ে দিলে এলাকায় অশান্তি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা ঘিরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বচসা শুরু হয়। সেখান থেকেই পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। একটি গোষ্ঠীর দাবি, শোভাযাত্রা চলাকালীন স্থানীয়রা ইট-পাথর ছোঁড়া শুরু করে। অপর গোষ্ঠীর আবার দাবি, শোভাযাত্রা থেকেই স্থানীয় দোকানপাটে ভাঙচুর চালানো হয়, মসজিদে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। হিংসায় যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে বাংলার দুই বাসিন্দার বিরুদ্ধেও। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মোট ৩৯ জনকে আটক করে পুলিশ।