আকাশ মিশ্র: নির্ভয়া কাণ্ড নিয়ে ‘দিল্লি ক্রাইমে’র প্রথম সিজন, বেশ প্রশংসিত হয়েছিল। তথ্যচিত্রের কায়দায় এর গল্প বলার ধরন, বিশেষ করে ডিসিপি ভর্তিকার চরিত্রে শেফালি শাহ নজর কেড়ে নিয়েছিলেন। তাই সেই একই টিমের হাতে পড়ে ‘দিল্লি ক্রাইমে’র দ্বিতীয় সিজনও যে ভাল হবে, তা আগে থেকেই বোঝা গিয়েছিল। সেই আশা পূরণও করল ‘দিল্লি ক্রাইম টু’। পরিচালক তনুজ চোপড়ার হাতে পড়ে এই সিরিজ টানটান চিত্রনাট্য আপনাকে বসিয়ে রাখবে।
প্রথম সিজন হোক বা দ্বিতীয় সিজন। ‘দিল্লি ক্রাইম’ সিরিজে বরবরাই গুরুত্ব পেয়েছে হিংসা। অনেক সময়ই বেশ কিছু দৃশ্য চিত্রনাট্যের থেকে বেরিয়ে হিংসা, খুনের উপর বেশি দৃষ্টি টানে। ‘দিল্লি ক্রাইম টু’তেও (Delhi Crime Season 2) এই নিয়ম বজায় থেকেছে। সেক্ষেত্রে প্রতি এপিসোডের শুরু এবং শেষ ভায়ালেন্সটা বেশ নাড়া দেয়। অনেক সময় এটা জোর করে দেখানো হচ্ছে সেটাই মনে হবে। এইটুকু ত্রুটি ছাড়া ‘দিল্লি ক্রাইম টু’ বেশ উপভোগ করার মতো একটি সিরিজ। বিশেষ করে যাঁরা ক্রাইম থ্রিলার দেখতে পছন্দ করেন, তাঁদের ‘দিল্লি ক্রাইম টু’ ভাল লাগবে।
এবারের গল্প সিরিয়াল কিলার গ্যাংকে কেন্দ্র করে। যাদের নিশানায় শহরের বড়লোক বৃদ্ধ ও বৃদ্ধারা। সঙ্গে রহস্য সমাধানের মাঝে দিল্লি পুলিশের অন্দরের কলহ। তবে এই সিরিজে ভর্তিকা ও নীতির (রসিকা দুগ্গল)-এর টানাপোড়েনটা বেশ ভাল লাগবে।
[আরও পড়ুন: কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের মাস্টারস্ট্রোক, ‘লক্ষ্মী ছেলে’র মতো ছবি গত ৫ বছরে তৈরি হয়নি ]
‘দিল্লি ক্রাইম টু’ সিরিজের গল্প একেবারেই সহজ নয়। এই সিরিজ শুধুমাত্র ক্রাইম ড্রামা নয়। পরিচালক তনুজ এই সিরিজের গল্পে নিয়ে এসেছেন উচ্চবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের টিকে থাকার লড়াই। তাই অপরাধকে দুই শ্রেণির প্রেক্ষিত থেকেই দেখানো হয়েছে। যা কিনা এই সিরিজকে অন্যমাত্রায় নিয়ে যায়।
অভিনয়ের দিক থেকে এবারও গোটা নজর কেড়ে নিয়েছেন শেফালি শাহ। তবে রসিকা দুগ্গল যথেষ্ট ভাল। রাজেশ তাইলং যথাযথ। সব মিলিয়ে দিল্লি ক্রাইমের এই দ্বিতীয় সিজনও আগ্রহ ধরে রাথতে সমর্থ। তবে এপিসোডগুলোর দৈর্ঘ্য আরও একটি ছোট হলে আরও জমজমাট হতে পারত এই সিরিজ।