সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পরামর্শ উপেক্ষা করে লকডাউনের পথে হাঁটেনি দিল্লি। বরং একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে দূষণ নিয়ন্ত্রণের পথে হেঁটেছে। কিন্তু এবার শীর্ষ আদালতের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ে অবস্থান ১৮০ ডিগ্রি বদল করে ফেলল কেজরিওয়াল সরকার। দিল্লির (Delhi) দূষণ রুখতে লকডাউনে প্রস্তুত, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানালে প্রশাসন। এ নিয়ে কেন্দ্রের কাছে মঙ্গলবার সন্ধের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।
সোমবার দিল্লি সরকার হলফনামা দিয়ে শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে, স্থানীয় স্তরে মাত্রাছাড়া দূষণ রুখতে সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে হাঁটতে প্রস্তুত প্রশাসন। তবে শুধু রাজধানী শহরেই নয়, যথাযথ ফলাফল পেতে হলে এনসিআর (NCR) অর্থাৎ সংলগ্ন গুরুগ্রাম, নয়ডাতেও প্রয়োজন লকডাউন। কারণ, শস্যের নষ্ট অংশগুলি পোড়ানোর (Stubble burning) জেরে দূষণের মাত্রা বাড়ে। আর এর জন্য পাঞ্জাব-হরিয়ানা প্রশাসনকেও দায়ী করা হয়েছে। যদিও শনিবারই সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া লকডাউনের পরামর্শ উপেক্ষা করে ৭ দিনের জন্য স্কুল-কলেজ, নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার পথে হেঁটেছিল কেজরিওয়াল সরকার। সরকারি অফিসগুলিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: পূর্ব রেলের আসন সংরক্ষণের নিয়মে বদল, আগামী সাতদিন রাতে বন্ধ রিজার্ভেশন]
কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে যেতে থাকায় লকডাউনের (Lockdown) প্রস্তুতি শুরু করেছে দিল্লি সরকার। এদিন সুপ্রিম কোর্টে এনিয়ে সওয়াল-জবাবে বিচারপতিরা তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন। প্রধান বিচারপতি (CJI) এনভি রামানা দিল্লি সরকারের আবেদনকে ‘অজুহাত’ বলে কটাক্ষ করেছেন। সূত্রের খবর, তিনি এও স্পষ্ট করে জানান যে কোন রাজ্য কী পদক্ষেপ নেবে, তা ঠিক করে দেওয়ার কাজ নয় শীর্ষ আদালতের। বরং দিল্লি সরকারই সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ঠিক করুক। আর তা জরুরি ভিত্তিতেই করতে হবে। মঙ্গলবার এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে হবে সুপ্রিম কোর্টকে।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় ‘সাম্প্রদায়িক হিংসা’র খবর করার পরই আটক দুই মহিলা সাংবাদিক! তুঙ্গে বিতর্ক]
তিনটি ধাপে দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট। যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ, ভারী ট্রাকের দিল্লিতে প্রবেশ বন্ধ করা এবং কঠোরভাবে লকডাউন পালন করেই দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। অন্যদিকে, পাঞ্জাব-হরিয়ানা সরকারের সঙ্গে আলোচনাক্রমে ফসল পোড়ানোর বিষয়টি কিছুদিন স্থগিত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।