সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটপ্রচারে বাধ্যতামূলক করা হোক মাস্ক এবং শারীরিক দূরত্ব। একযোগে কেন্দ্র এবং নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) নির্দেশ দিল দিল্লি হাই কোর্ট। দেশে ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণের কথা ভেবেই এই নির্দেশ আদালতের। নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া গাইডলাইন অনুযায়ী, এমনিতেই প্রচারে মাস্ক এবং শারীরিক দূরত্ব বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, সেই গাইডলাইন মানা হচ্ছে না। তাই আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হল।
দেশের করোনা পরিস্থিতি ফিরিয়েছে বিভীষিকাময় দিনগুলি। মারণ ভাইরাসের আতঙ্ক রীতিমতো কাঁপুনি ধরাচ্ছে আম আদমির মধ্যে। কিন্তু তাতেও বন্ধ নেই ভোটপ্রচার। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে পাল্লা দিয়ে চলছে প্রচার। বড়বড় জনসভা, শোভাযাত্রার প্রতিযোগিতা চলছে। যাতে জড়ো হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। কোথাও কোথাও জড়ো হচ্ছেন লক্ষাধিক মানুষ। অথচ, এঁদের কারওরই ন্যূনতম করোনা বিধি মানার দায় নেই। রাজনৈতিক দলগুলিও যেন ভ্রূক্ষেপহীন। মাস্ক-শারীরিক দূরত্ব ছাড়া হাজার হাজার মানুষের জমায়েত হলেও, দলগুলি ব্যস্ত স্রেফ ভোট চাইতে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে করোনা বিধি মানার ন্যূনতম চেষ্টাও দেখা যাচ্ছে না রাজনৈতিক দলগুলির তরফে। এমনকী নির্বাচন কমিশন যে নিয়মগুলি বেঁধে দিয়েছিল তাতেও বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ‘প্রযুক্তিতে ভারতের চেয়ে এগিয়ে চিন’, সেনায় সাইবার হামলার আশঙ্কা বিপিন রাওয়াতের]
দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court) জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের মোবাইল অ্যাপ, পুস্তিকা, ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য সমস্ত প্ল্যাটফর্মে ভোটে করোনা বিধি সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়ম প্রকাশ করতে হবে। এবং সমস্তরকমভাবে সচেতনতার প্রচার চালাতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ সতর্ক হন। হাই কোর্টের নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, এবার থেকে ডিজিটাল, প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক সমস্তরকম সংবাদমাধ্যমেই বিজ্ঞাপন দিয়ে মাস্ক এবং শারীরিক দূরত্ব নিয়ে প্রচার করতে হবে।